কলকাতা: চারদিনের দিল্লি সফরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ইতিমধ্যেই একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। রাজ্যপালের এই দিল্লি সফর সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাঁকে এক হাত নিয়ে বলেন, ‘বাচ্চা হলে বুকে চুপ করানো যায়!’ একইসঙ্গে রাজ্যপালের দিল্লি সফরের কারণে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন মমতা বলেন, তিনি দিল্লি সফরে গিয়ে কাদের সঙ্গে দেখা করবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ ব্যাপারে তাঁর কিছু বলার নেই। বাচ্চা হলে বকে চুপ করানো যায়। মমতা আরও জানিয়েছেন, “রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে তিনবার চিঠি দিয়েছি”। মমতার আরো সংযোজন, তিনি কয়লা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বা অন্য কারো সঙ্গে বৈঠক করবেন, সেটা পুরোপুরি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে তাঁর আলাদা করে কিছু বলার নেই। যদিও ‘কেন মুখ খোলাচ্ছেন’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন মমতা। উল্লেখ্য আজ নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বৃস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ সারেন বাংলার রাজ্যপাল৷ যদিও কী বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়নি৷ তবে রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপাল বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি উঠে আসতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ পাশাপাশি রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে কথা হতে পারে বলেও জোড় জল্পনা। আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাইসিনা হিলসে পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ এক ঘণ্টা পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি৷ সোমবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে নালিশ করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এর পর শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল৷ দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রীকে৷ মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পৌঁছন তিনি৷ গতকাল কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অরুণ কুমার মিশ্র এবং লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ধনকড়৷ জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন রাজ্যপাল৷