কলকাতা: দীর্ঘ জল্পনার পর আজ অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কালীঘাটের বাড়ি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন। এই ইস্তেহার প্রকাশ করার মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রেশন সরবরাহ করা হবে। কাউকে বাইরে বেরিয়ে রেশন নিতে হবে না। এই ঘোষণায় প্রশ্ন উঠেছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা স্পষ্ট জবাব দিয়ে বলেছেন, এতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের কোন প্রশ্নই ওঠে না।
এদিন সাংবাদিকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দুয়ারে সরকারের মতো অনেক প্রকল্প এখন চলছে। অনেক প্রকল্প ইতিমধ্যেই বাজেটে পাস হয়ে গিয়েছে। অনেক প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি যাচ্ছে, অন্যদিকে ‘মন কি বাত’-এর মতো প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশন কেন প্রশ্ন তুলছে না, এদিন এই প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্য সরকারের যে প্রকল্প ইতিমধ্যেই চলছে সেই প্রকল্প যদি আরো কিছু মাস বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় তাতে অসুবিধা কোথায়।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে ১০ অঙ্গীকার, কী কী প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা?
এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিধবা ভাতা বেড়ে মাসে ১ হাজার টাকা হবে। এদিকে, শিক্ষার জন্য এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ পাওয়া যাবে। যোগ্য পড়ুয়াদের জন্য ১০ লাখ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আনা হবে। চার শতাংশ সুদ দিতে হবে। জামিনদার লাগবে না। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারের সরকার চলবে। বছরে ৪ বার করে দুয়ারে সরকার হবে। কৃষকদের ব্যাপারেও আলোকপাত করেন তিনি। জানান, কৃষকেদের বার্ষিক ১০ হাজার টাকা। ১ কাঠা জমি থাকলেই সেই কৃষককে বছরে ১০ হাজার টাকা সাহায্য করবে সরকার। ক্ষমতায় ফিরলে প্রতি পরিবারকে বছরে ৬ হাজার টাকা। সাধারণ পরিবারকে মাসে ৫০০ টাকা। তফশিলি পরিবারকে মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে এদিন জানিয়েছেন মমতা।