হিঙ্গলগঞ্জ: শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু ঘিরে তুঙ্গে উত্তেজনা তুঙ্গে৷ এরই মধ্যে শীতলকুচির মাথাভাঙ্গা জোড় পাটকি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই যে চার তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, সে কথা স্বীকার করে নিল নির্বাচন কমিশন৷ ঘটনার ব্যাপক বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে, হিঙ্গলগঞ্জে নির্বাচনী জনসভা করে ফের একবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি এদিন হিঙ্গলগঞ্জে বলেন, সিআরপিএফ গুলি চালিয়ে আজ চারজন মানুষকে মেরে দিয়েছে। সকালেও একজন মারা গেছে। আমি প্রথম দিন থেকে বলে আসছি, সিআরপিএফ আমার শত্রু নয়, কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় যে চক্রান্ত চলছে আজকে প্রমাণ হয়ে গেছে, গুলি করে মেরে দিয়েছে সিআরপিএফ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের। এত ঔদ্ধত্য হয় কোথা থেকে, এত অত্যাচার আসে কোথা থেকে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি দাবি করে বলেন, বিজেপি জানে তারা হেরে গেছে তাই এখন ভোটারদের গুলি করে মারছে এবং কর্মীদের গুলি করে মারছে। তবে হিংসাকে সমর্থন না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, সকলে শান্ত থেকে নিজেদের মতো ভোট দান করুন কেউ কোনো অশান্তির মধ্যে যাবেন না। যারা অশান্তি করে তারা রাক্ষসের দল এবং যারা শান্তি রক্ষা করে তারা মানুষের দল।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন দোলা সেন, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন দোলা৷ তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের সীমা লঙ্ঘন করছে৷ ভোটারদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে৷ অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’বার শোকজ করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বিচার গুলি চালিয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙায় মানুষ খুন করছে৷ এর জবাব কে দেবে? বাংলার মানুষ নির্বাচন কমিশনকে শোকজ করছে৷ ভোট চলাকালীন আইন শৃঙ্খলার এই পরিণতির জন্য সাধারণ মানুষ হিসাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাব চাই৷