কলকাতা: দেশের টিকাকরণ কর্মসূচি দুটি ভ্যাকসিন দিয়ে হচ্ছে। একটি কোভিশিল্ড এবং অন্যটি কোভ্যাক্সিন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিলেও এখনও পর্যন্ত কোভ্যাক্সিনকে স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ এতদিন ধরে তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে আসেনি। গতকাল রিপোর্ট এলেও এতদিনে প্রচুর মানুষ বিনা রিপোর্ট দেখেই এই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে। এদিকে, ভারতের বাইরে অনেক দেশ এই ভ্যাকসিনকে মান্যতা দেয়নি এখনও। এই নিয়েই এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভ্যাক্সিনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দ্রুত চাইলেন তিনি। এর জন্য উদ্যোগ নিতে বললেন সরকারকে।
এদিন মমতা বলেন, কোভিশিল্ড নিয়ে কোনও সমস্যা নেই কারণ ‘হু’ এটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মাথা থেকে বেরনো কোভ্যাক্সিন টিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি তারা এখনও। কিন্তু ইতিমধ্যেই যারা বাইরে যাবে পড়াশুনা করতে বা কাজের সূত্রে তাদের মধ্যে অনেকেই বেসরকারি জায়গা থেকে এই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে এখন কী করণীয় সেটা পরিষ্কার হচ্ছে না। এখন এই বিষয় নিয়ে তারা আতঙ্কিত বলে দাবি করছেন মমতা। বলছেন, যারা কোভ্যাক্সিন নিয়ে নিয়েছে তারা এখন কী করবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ বাইরে এটা স্বীকৃত নয়। তারা কী অন্য ভ্যাকসিন এখন নিতে পারবে, না কী করবে, সে ব্যাপারেও কোনও কিছু বলা হয়নি। তাই তিনি চান, কেন্দ্রীয় সরকার যাতে এই ব্যাপারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করুক, আর এই ভ্যাকসিনকে যাতে যত শীঘ্র সম্ভব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করুক। এদিন মমতা আরও জানান যে, সরকারি তরফে কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- IAS হতে হতে না পেরে অপরাধ জগতে পা! মেধাবী দেবাঞ্জনের জীবন যেন চিত্রনাট্য
এদিকে গতকাল, ছাড়পত্রের পাঁচ মাস পর কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে এনেছে ভারত বায়োটেক। জানা গেল এই ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী। রিপোর্ট মারফত জানা গিয়েছে, দেশের ২৫,৮০০ জনের ওপরে এই টিকা ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে এটি ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী এবং এই ভ্যাকসিনের গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যেহেতু এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত রিপোর্ট এতদিন পেশ করা হয়নি তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ভ্যাকসিনের তালিকায় এটি ছিল না। তবে এখন আশা করা হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সেই তালিকায় স্থান পাবে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।