কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আবহে রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও সংকটজনক অবস্থায় পৌঁছেছে দিন দিন। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার যথেষ্ট আতঙ্ক বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারে কিছুটা হলেও কাটছাঁট করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসার জায়গায় আসেনি। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানালেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই রাজ্যবাসীর। টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এদিন মালদা থেকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, নির্বাচনী প্রচারের জন্য বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসছেন তাই জন্য বাংলায় সংক্রমণের হার বাড়ছে। এক্ষেত্রে তিনি যে সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও মমতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্স গঠন করে কাজ শুরু করা হয়েছে। তাই রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্যে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানান, আরো সাড়ে চার হাজার বেড বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে সেফ হোম প্রসঙ্গে তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। জানান, ২০০ সেফ হোমে থাকছে ১১ হাজার বেড। একই সঙ্গে বিভিন্ন হোটেলের সেফহোম তৈরি হবে বলে তিনি জানান তিনি। এদিকে সরকারি হাসপাতালে ৪ হাজার করোনা বেড বাড়বে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ৪০০ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একই সঙ্গে, ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, উত্তীর্ণ ভবন এবং গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম সেফ হোম হবে। উত্তীর্ণতে থাকবে ৪০০ বেড এবং গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে থাকবে ২০০ বেড। সেফ হোমে থেকে যদি কোন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে, তাহলে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। আপাতত উপসর্গহীন এবং অল্প উপসর্গের রোগীদের এখানে রাখা হবে। বাইরে থাকবে কমপক্ষে ১০ টি অ্যাম্বুলেন্স এবং চালু করা হবে নতুন একটি হেল্পলাইন নম্বর।