কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিল যে বিজেপির জন্য রাজ্যে করোনা বাড়ছে। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে বিজেপি এখানে করোনা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এখনো এই ইস্যুতে সেই বিজেপিকে নিশানা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কেন্দ্রীয় দলের রাজ্যে আসা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আবহে ফের কেন বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা?
এদিন মমতা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আবার বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। মানুষের রায় মানতে না পেরে এইসব করছেন তারা। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, যখন অক্সিজেন থাকে না তখন তো কেন্দ্রীয় দল আসে না, যখন স্যালাইন থাকে না, যখন দিল্লিতে দাঙ্গা হয়, যখন উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা হয়, যখন উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ হয় তখন তো কেন্দ্রীয় দল আসে না সেখানে। সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবল সমালোচনা করে বললেন, একটা সরকার ক্ষমতায় এসেছে ২৪ ঘণ্টাও হয়নি, তারই মধ্যে বারবার চিঠি চলে আসছে, কেন্দ্রীয় দল চলে আসছে। জায়গায় জায়গায় বিজেপি হিংসা করছে, কমিশনের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা থাকাকালীন ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্ধেক বিজেপি এবং অর্ধেক তৃণমূল কর্মী মারা গেছেন। যেখানে বিজেপি আসন বেশি পেয়েছে সেখানে গুন্ডামি বেশি হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, কোয়াক ডাক্তারদের কাজে লাগানো হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সরাও চিকিৎসা করবেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানো হবে। সব হাসপাতাল, নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসার বেড রাখতে হবে। পাশাপাশি, আগামী ১৫ দিন সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন মমতা। বললেন, দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজেদের খেয়াল নিজেরা রাখুন। গাদাগাদি করে বাসে উঠবেন না। ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করুন। এদিকে পাটশিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাটশিল্পে একসঙ্গে ৩০ শতাংশের বেশি কর্মী কাজ করবেন না। এই সব এলাকাগুলি থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়ায়।