কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দাবি করেছিলেন যে রাজ্যে উপনির্বাচন সংগঠিত করতে তৈরি। বাংলার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে, তাই নির্বাচন হতেই পারে। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। উপনির্বাচন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ চায় তাঁরা। আর এদিন নবান্ন থেকেও উপনির্বাচন নিয়ে আবারও মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানালেন, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি যা, তাতে নির্বাচন করা সম্ভব।
এদিন মমতা বলেন, রাজ্য উপনির্বাচনের জন্যেও প্রস্তুত। রাজ্যে এমন এলাকাও আছে যেখানে একটা করোনা কেস নেই। মমতার কথায়, তিনি ভবানীপুরে দাঁড়ান, সেখানে কেস এখন শূন্য। জানান, ভবানীপুর নিয়ে কলকাতা পুরসভার একটা রিপোর্ট দেখেছেন তিনি। অনেক ওয়ার্ডই কোভিড শূন্য সেখানে। মমতার আরও সংযোজন, উপনির্বাচন হবে এক একটা বিচ্ছিন্ন এলাকায়। তা ছাড়া গোটা রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গেই মমতা মনে করিয়ে দেন, আইন অনুযায়ী ভোটের ফল প্রকাশের ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে। ফলে তাঁরা বেআইনি বা অসাংবিধানিক কিছু চাইছেন না।
আরও পড়ুন- যা হয়েছে ভোটের আগে, ভোট পরবর্তী কোনও হিংসা হয়নি, সাফ জবাব মমতার
এদিকে, উপনির্বাচন নিয়ে মোটামুটি নিজেদের মত করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। ভোট আয়োজনের আগে সেই সব এলাকার করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। গত দু সপ্তাহে ওই সব বিধানসভা এলাকায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন সে সম্পর্কে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ১০ জুলাই পর্যন্ত সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দিনহাটা বিধানসভা এলাকায় ৪২ জন, ভবানীপুর এলাকায় ২৬, খড়দহে ২৬ জন, গোসাবা বিধানসভায় ১৭ জন, শান্তিপুরে ৩৯ জন, সামশেরগঞ্জে ১ জন এবং জঙ্গিপুরে ৫ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য ভবনের পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৭ কেন্দ্রের মধ্যে সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হবে। ভবানীপুর, খড়দহ-সহ ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।