কলকাতা: কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্যের আপত্তি নেই বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেক্ষেত্রে পুরো টাকা কেন্দ্রতেই দিতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও বলেন রাজ্যজুড়ে সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়ে যাওয়ার কথা। এই সুযোগ কার্ড হোল্ডারের পরিবারও পাবে। এই নিয়ে একটি সার্ভে করে কাজ কতটা এগিয়েছে তা দেখে নেওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের তরফে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প আসার ২ বছর আগে এসেছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে কেন্দ্র ৬০ শতাংশ টাকা দেয়। বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্যকে দিতে হয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্য নিজেই ১০০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে। তাহলে নতুন প্রজেক্ট রাজ্য সরকার কেন হাতে নেবে, এই প্রশ্ন তোলেন মমতা। বলেন, “১০ কোটির মধ্যে ওরা মাত্র দেড় কোটি লোককে দেবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের টাকা। আমরা দিচ্ছি সাড়ে সাত কোটি মানুষকে। ওদের প্রকল্প মেনে নিলে অর্ধেকে তো টাকা পাবেই না। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিবার ৫ লক্ষ টাকা করে পাচ্ছে।”
এদিন সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও বলেন। জানান, কৃষকদের কাছে টাকা যেন ঠিকমতো পৌঁছয়। কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড যেন ঠিক করে দেওয়া হয় কৃষকদের। রাজ্য সরকার এক মাসে ১২ লক্ষ করে ক্রেডিট কার্ড দিয়েছে। এই নিয়ে প্রয়োজনে SLBC মিটিং করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যাংক স্যাংশন করার কথাও বলেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থাকলে কৃষকরা একটা টাকা পায়। তাই এ বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা বলেন মমতা। এনিয়ে এগ্রিকালটার ডিপার্টমেন্টেও নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি। কৃষকদের ডেথ বেনিফিট যেন তাড়াতাড়ি পৌঁছে যায়, সেই কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া তিনি জানান, তপশিলি জাতি ও আদিবাসী পরিবারের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেনশন ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তারা ৬০ বছর হয়ে গেলই পেনশন পাবে। এমনকী যাঁরা ৫০০ বা ৫৫০ টাকা পেতেন, বিধবা ভাতা বা অন্যান্য ভাতা, তাঁদের ভাতা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পেনশন যেন পড়ে না থাকে, এদিন সেদিকে নজর দেওয়ার জন্যও প্রশাসনিক কর্তাদের বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান ডিসেম্বর পর্যন্ত পেনশন দিয়ে দেওয়া হবে। তারপর থেকে তিনমাস করে করে পেনশন দেওয়া হবে।