নন্দীগ্রাম: প্রার্থী হওয়ার পর এই প্রথম নন্দীগ্রামে সভা করতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য এটাকে জনসভা নয়, বলে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা। তা সেই কর্মীসভাতেও রেগে গেলেন ঘাসফুল সুপ্রিমো। না, এবার কেউ সভায় বাধা দেয়নি, কেউ কোনও কিছু নিয়ে দাবি জানায়নি। এবার খারাপ মাইকের কারণে রেগে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। সভার শেষে তিনি বলেই ফেললেন, ‘মাইক খারাপ, যে করেছ, ঠিক করনি’।
সভার শুরতেই মাইক নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। বোঝা যায়, মাইক হয়তো তেমন ভাল নয় কারণ গেইন আসছিল। একটু বেশি জোরে কথা বলতে হচ্ছিল। তখন অবশ্য মমতা ব্যাপারটিকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন যে, গ্রামের মাইক, হতেই পারে এমন। কিন্তু সভা শেষের সময় তিনি নিজের রাগ চাপতে পারলেন না। রেগে আগুন হয়ে তিনি বলেই ফেললেন, ‘আজকের মাইকটা সত্যি খারাপ। এই মাইকে ভাষণ দেওয়া সম্ভব নয়। একদিনেই আমার গলা বসিয়ে দিয়েছেন। যে করেছেন, ঠিক করেননি। দিস ইজ নট ফেয়ার‘! ক্ষুব্ধ মমতার পাশে তখন দাঁড়িয়ে চণ্ডীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন- ‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’, বার্তা দিলেন ‘দিদি’
এদিকে আজ, তিনি নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়িয়েছেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভবানীপুর আমার নিজের ঘর ছিল৷ ওখানে কিছুই করতে হত না৷ ওখানে তো রোজই যাই৷ শেষ যখন নন্দীগ্রামে এসেছিলাম, এখানে কোনও বিধায়ক ছিল না৷ পদত্যাগ করে চলে গিয়েছিল৷ তখন নন্দীগ্রাম আসনটা খালি ছিল৷ সেই সময় আমি বলেছিলাম, নন্দীগ্রামে যদি আমি দাঁড়াই কেমন হবে? শুনতে চেয়েছিলাম আপনারা কী বলেন৷ আপনারাই বলেছিলেন খুব ভালো হবে৷ আপনাদের সেই সাহস, সেই উদ্দীপনা, আপনাদের সেই ভালোবাসা দেখেছিলাম৷ আমার দু’চোখে নন্দীগ্রাম৷ ‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’৷ উল্লেখ্য, বুধবার হলদিয়ায় গিয়ে মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ মার্চ শিব চতুর্দশীর পুজো দিয়ে কলকাতা ফিরবেন তিনি।