‘দিল্লিতে আমি বহিরাগত’, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে বিপত্তি মমতার

‘দিল্লিতে আমি বহিরাগত’, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে বিপত্তি মমতার

 

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস নিয়ম বিধির জেরে রাজধানী দিল্লিতে গিয়েও হয়তো রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ইস্যুতে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। যদিও আশা ছাড়ছেন না মমতা, তিনি জানাচ্ছেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত হলে ভালই লাগবে তাঁর।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস নিয়ম বিধির কারণে রাইসিনা হিলসে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি এখনো পর্যন্ত আটকে রয়েছে। মমতা জানান, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বলা হচ্ছে যে সেখানে প্রবেশ করতে হলে rt-pcr রিপোর্ট চাই। কিন্তু মমতার কথায় তিনি দিল্লিতে আউটসাইডার বা বহিরাগত। তাই সেখানে কোথায় গিয়ে টেস্ট করাবেন তা তিনি জানেন না। এই প্রেক্ষিতে মমতা আরো বলেন, তিনি জানতেন যে হয় ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ লাগবে না হলে টেস্ট করাতে হবে। তাঁর দুটো নেওয়া আছে কিন্তু তাও রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বলা হচ্ছে যে সেখানে প্রবেশ করতে হলে rt-pcr রিপোর্ট দিতে হবে। তবে মমতার আশা যে হয়তো তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তিনি এই ব্যাপারে অনুরোধ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তবে একান্তই সাক্ষাৎ না হলে মমতা রাষ্ট্রপতির শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি চান যাতে রাষ্ট্রপতি সুস্থ থাকুন।

এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সেই বৈঠক সম্পর্কে মমতা জানান, এটা সম্পূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ৷ নির্বাচনের পর একবার দেখা করতেই হয়৷ এটা সাংবিধানিক প্রোটোকল৷ তবে এদিন কোভিড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চর্চা হয়েছে৷ রাজ্যে আরও বেশি ভ্যাকসিন ও ওষুধের প্রয়োজন আছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে৷ প্রতিটা রাজ্যকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই৷ কিন্তু আমাদের রাজ্যে জনবসতির তুলনায় কম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে টিকাকরণ ভালোই চলছে৷ কোভিডও নিয়ন্ত্রিত৷ তবে তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সকলে যাতে ভ্যাকসিন পায়, সেটাই আমরা নিশ্চিত হতে চাই৷ তাছাড়া রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *