কলকাতা: দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই শিরোনামে ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির৷ শাসক দলের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে মুখে খুলেছিলেন তিনি৷ এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি৷ এদিন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও দেখা করলেন না জিতেন্দ্র৷ তাঁর সাফ কথা, যা বলার রয়েছে তা তিনি সরাসরি জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এদিকে জিতেন্দ্রকে নিয়ে দলের অন্দরে অশান্তির মধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার৷ এমনকী জল্পনা উস্কে ‘দাদার অনুগামী’ পোস্টারে দেখা গেল তাঁর ছবি৷ যা আরও উদ্বেগে ফেলেছে শাসক দলকে৷
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলে গণতন্ত্র-সম্মান কিছুই নেই, এটা হওয়ারই ছিল!’ শুভেন্দু প্রসঙ্গে মত দিলীপের
দিন কয়েক আগেই পদত্যাগের বার্তা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ রাজীবের পথে হেঁটে বিদ্রোহীর ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর মান ভাঙাতে আলোচনার বার্তা দেন ফিরহাদ হাকিম৷ কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেননি বিক্ষুব্ধ সাংসদ৷ তবে জানা গিয়েছে, জিতেন্দ্রর প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে দলনেত্রীর৷ তিনি জিতেন্দ্রকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার আর্জি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর৷ ১৮ ডিসেম্বর জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজে আলোচনায় বসবেন বলে জানা গিয়েছে৷ অন্যদিকে কেন চিঠি ফাঁস হল তা নিয়ে দলনেত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জিতেন্দ্র৷ বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি ফেরার পরই হবে বৈঠক৷
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর ইস্তফায় আইনি জটিলতা! বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অধ্যক্ষ
দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে বিদ্রোহীর সংখ্যা৷ আজ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বিজেপি’তে যোগ দিতে চলেছেন বলে জোড় গুঞ্জন৷ রাজীবের গলাতেও এখন বিদ্রোহের সুর৷ এই অবস্থায় কেউ বেসুরো হলেও তাঁর মান ভঞ্জনের চেষ্টা চলছে৷ রজীব, জিতেন্দ্রর মতো ক্ষোভের প্রকাশ করেছেন দীপক হালদারও৷ গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে তাল কেটেছে৷ দলীয় সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না বলেও অভিযোগ৷ এত দিন দল থেকে তিনি দূরেই ছিলেন৷ ভোটের আগে বিদ্রোহী ভূমিকায় ফিরলেন দীপক৷ দলে কাজ করার পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘মানুষই সব৷ রাজনীতিতে সবার আগে মানুষকে মর্যাদা দিতে হয়৷ আগামী দিন মানুষেক কথা ভেবেই তাঁদের পাশে থাকব৷ ’’