কলকাতা: গত বছরের মতো এ বছরও মে মাসে আরো একটি ঘূর্ণিঝড় আসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। গতবারের অভিজ্ঞতা এবারে কাজে লাগিয়ে আগেভাগে নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের দুই ২৪ পরগনা সহ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত দু’দিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে নতুন এক ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। গত তিন-চার দিন ধরে দেশের পশ্চিমে মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাটের উপকূলে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘তকত’। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে দেখে শিউরে উঠেছে দেশের মানুষ। এবার দেশের পূর্ব উপকূলে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত৷ আশঙ্কা, নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণাবর্তের নিচে পারে৷ আগামী শনিবার ২৩ মে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়৷ আগামী সপ্তাহের বুধবার নাগাদ ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ প্রভাব পড়তে পারে দীঘা-শঙ্করপুরেও। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আন্দামান ও নিকোবরে নির্ধারিত সময়ের ২-১ দিন আগেই ঢুকে যেতে পারে বর্ষা৷ তবে, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’কে নিয়ে অহেতু আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করেছে প্রশাসন৷
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে গত বছর পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল আমফান ঘূর্ণিঝড়। সেই তাণ্ডবের স্মৃতি এখনো রাজ্যবাসীর মনে স্পষ্ট ভাবে রয়েছে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের এক বছর পূর্তিতে আবার এক ঘূর্ণিঝড় আসার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে! আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২২ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূল অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড়। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি।