কলকাতা: কয়েক সপ্তাহ পর দেশের অন্যতম বড় নির্বাচন সংঘটিত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সহ আরো কয়েকটি রাজ্যে। এর মধ্যে বাংলার বিধানসভা ভোট নিয়ে সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা। সেই ভোটের মতিগতি জানতে দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে ছিল সি ভোটার সংস্থা। সেই সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য যা ইঙ্গিত দিচ্ছে আগামী নির্বাচনে হাওয়া কোন দিকে বইবে। এই সমীক্ষা ইঙ্গিত দিয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখনো বিকল্প নেই নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অধিকাংশ মানুষজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কে কতটা জনপ্রিয় তাতে খুব একটা ভালো ফল করতে পারেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী হলেন ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক। তারপর রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, জগনমোহন রেড্ডি, পিনারাই বিজয়ন, উদ্ধব ঠাকরে, ভূপেশ বাঘেল। সাত নম্বরে অবস্থান করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার পারফরম্যান্স কিছুটা খারাপ হলেও সবচেয়ে খারাপ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পারফরম্যান্সই। প্রথম পাঁচ, আদতে প্রথম সাতেও ঢুকতে পারেনি কেউ। আট নম্বরে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। অন্যদিকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানী রয়েছেন দশ নম্বরে। অর্থাৎ দেখা গিয়েছে, দেশের প্রথম দশ জন জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম সাতজনই বিরোধী দলের।
দেশের সমস্ত রাজ্যে ঘুরে ঘুরে সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রেই গিয়েছেন সমীক্ষকরা। খুঁটিয়ে কথা বলেছেন ৩০ হাজারের বেশি ভোটারের সঙ্গে। দীর্ঘ ১২ সপ্তাহ ধরে চলেছে এই সমীক্ষা। এই সমীক্ষাই ইঙ্গিত দিয়েছে, রাজ্যের ৪৩ শতাংশ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে সন্তুষ্ট। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁকেই তারা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। এদিকে ৩২ শতাংশ মানুষ রাজ্য সরকারের কাজ নিয়ে আংশিক সন্তুষ্ট। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও তারা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখছেন। অন্যদিকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের প্রতি ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে ২২ শতাংশ মানুষের। এই অসন্তোষের কারণ আমফান দুর্নীতি থেকে শুরু করে কাটমানি এবং চিটফান্ড কাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি ৩ শতাংশ এখনই বলতে পারছেন না তারা কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।