কলকাতা: চতুর্থ দফা ভোটে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল হামিদুল হক, দিলদার আহমেদ, মনিরুল হক এবং নুর আলমকে৷ এই চারজনের পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মাথাভাঙা মাঠের পাশে তৈরি করা হয় শহিদ মঞ্চ৷ সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের শাস্তি তিনি দেবেন। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিল রাজ্য বিজেপি। তিনি লাশের রাজনীতি করছেন বলে আক্রমণ করা হয়। একই সঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, মমতা যেন সসম্মানে বিদায় নেন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে অনেক ঘটনায় তদন্তের কথা বলেছেন, তার আদতে কী সমাপ্তি ঘটেছে তা সকলেই জানে। তাই এইসব কথা বলে লাভ হবে না বলে বক্তব্য তাঁর। তিনি আরও বলেন, যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে তখন শীতলকুচি নিয়ে তদন্ত হবে। আর যারা যারা উস্কানি দিয়েছিল তাঁদের শাস্তি হবেই। এদিকে, শীতলকুচিতে মৃত আনন্দ বর্মনের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ কিন্তু পরে তাঁর দাদু ও মামা শহিদ মঞ্চে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন৷ এই নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, আনন্দের বাবা-মা বলছেন ছেলে বিজেপি করত বলে মারা গিয়েছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা মেরেছে। সেই বাড়ির পরিবারকেও মমতা আলাদা করতে চাইছেন। তিনি লাশের রাজনীতি করছেন।
প্রসঙ্গত, শীতলকুচি ঘটনার পরের দিনই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু কমিশনের জারি করা নির্বাচনী বিধিনিষেধের জেরে শীতলকুচি যেতে পারেননি তিনি৷ পরে তাঁর প্রচারেও ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ তবে ফোনে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই শীতলকুচি পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আনন্দ বর্মন ও বাকি চার নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷