কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁরা যুযুধান প্রতিপক্ষ৷ কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের আবহে এই শত্রুতাই বদলে গেল সৌজন্যে৷ একে অপরকে এক চুল জায়গা না ছেড়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিলীপ ঘোষ কি এবার মুখোমুখি বসতে চলেছেন চায়ের আড্ডায়? সম্ভবনা তেমনই৷ কারণ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এমনকী তাঁর বাড়ির কালিপুজোয় আসার জন্যেও আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলেন তিনি৷ এই ঘটনার প্রেক্ষাপট রবিবার রাজভবনে রাজ্যপালের ডাকা চা চক্র৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ দিবসে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংকে সামনে রেখে আশীর্বাদ যাত্রা BJP-র
উল্লেখ্য, গতকাল ছিল দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস৷ এই উপলক্ষে রাজ্যপালের সঙ্গে চা চক্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, তথাগত রায়৷ দিলীপ ঘোষ ও তথাগত রায়ের সঙ্গে বাক্য বিনিময় হলেও, শুভেন্দুর সঙ্গে একটি কথাও বলেননি মমতা৷ সবচেয়ে বেশি কথা হয় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে৷ প্রাতভ্রমণ থেকে শরীর চর্চা, মূলত এটাই ছিল তাঁদের অন্যতম আলোচ্য বিষয়৷ রাজভবনে বলেই দিলীপ ঘোষকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পডুন- অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যস্ত, এক মাস পিছিয়ে গেল নারদ মামলার শুনানি
প্রসঙ্গত, এর আগে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্ব নবান্নে গিয়েছিল বাম প্রতিনিধি দল৷ সেই সময় তাঁদের চা ও ফিশ ফ্রাই খাইয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজনীতির ওই পর্ব বাংলা বাংলায় ফিশফ্রাই পর্ব নামেই অভিহিত। কিন্তু বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে সংঘাতের সম্পর্ক, তাতে দিলীপ ঘোষ নবান্নের চা মুখে তুলবেন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়৷ রাজনীতির কারবারিরা বলছে, সংঘাত থাকলেও বাম ও কংগ্রেস নেতাদের প্রতি বারবারই সৌজন্য দেখিয়েছেন মমতা৷ তবে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানানো সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ৷