কালনা: ভোটের আগে একের পর এক দলীয় নেতার পদত্যাগে রাজ্যে শাসকদলের ভিত বেশ নড়বড়ে দেখাচ্ছিল। কিন্তু দলবদলে বিপর্যস্ত তৃণমূলের হাল ধরতে স্বয়ং মাঠে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালনার জনসভা থেকে এদিন আরো একবার দলত্যাগী সেই ‘মীরজাফর’দের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তিনি।
সারা শরীর জুড়ে রয়েছে মার খাওয়ার স্মৃতি, তাই কাউকেই ভয় করেন না তিনি, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালনার সভ মঞ্চ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন গোটা রাজনৈতিক জীবনে বহুবার মার খেয়ে খেয়েই আজকে তিনি এই জায়গায় দাঁড়িয়েছেন। তাই দলত্যাগী কোনো নেতাই তাঁকে ভয় দেখাতে পারবেন না। “আমাকে এত দুর্বল ভাবারও কোনো কারণ নেই”, বলেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের ‘দুষ্টু গরু’দের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “যাঁরা মনে করবেন বিজেপি করবেন চলে যান। আমার যায় আসে না। তাঁদের জন্য আমাদের দরজায় স্থান হবে না।”
এখানেই শেষ নয়, মার খাওয়ার প্রসঙ্গে মমতা এদিন আরো বলেন, “লোহার ডান্ডা দিয়ে আমার পুরো মাথাটাকে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। হাত, পেট, চোখ আমার শরীরে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মার খাইনি।” এরপরেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তাঁর হুংকার, “আমাকে যদি কেউ চমকায়, মানুষ তাঁদের ধমকায়।” বস্তুত, এদিনের জনসভার শুরু থেকেই দলত্যাগী বিরোধী নেতাদের প্রতি আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমাকে চমকালে আমি গর্জাই, আমি বর্ষাই, আমি উৎরাই, আমি পেরিয়ে যাই সমস্ত বাধাবিঘ্ন।”
বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার বার্তায় এদিন সভায় উপস্থিত জনতাকে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো বিদায়ী তৃণমূল নেতাদের ‘দুষ্টুগরু’ বলে কটাক্ষ করলে তারাপীঠের জনসভা থেকে প্রাক্তন ঘাসফুল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তার পাল্টা জবাব দেন। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের গোয়াল একদিন ফাঁকা হয়ে যাবে। নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হুঁশিয়ারির জবাবই কি এদিন দিলেন মমতা? উঠেছে প্রশ্ন৷