বিজেপি’কে পরাস্ত করতে ২৪’এও খেলা হবে, হুঙ্কার মমতার

বিজেপি’কে পরাস্ত করতে ২৪’এও খেলা হবে, হুঙ্কার মমতার

কলকাতা: পুরভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজেপি’কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন  মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০২৪-এ ‘খেলা হবে’ ডাক দিলেন তিনি৷ মমতা বলেন, সারা ভারতে বিজেপি’কে পরাস্ত করতে চাই৷ ওদের পরাস্ত করতে ২০২৪-এও খেলা হবে৷ ২০২৪ এর আগে যে কটা নির্বাচন হবে সব কটিতেই খেলা হবে৷ 

আরও পড়ুন- কারা কাউন্সিলার হবেন, প্রচার সভা থেকে সাফ জানালেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কার, আমি শিল্প তৈরি করে দেখিয়ে দেব, যতই বাধা দাও আমাদের আটকাতে পারবে না৷ হিংসা, নিন্দা আর কুৎসা করে মানুষের ভালোবাসার ঢেউ কখনও রোখা যায় না৷ মমতার কথায়, যতদিন বাঁচব মানুষের জন্য কাজ করব৷ বাংলার সভ্যতা রক্ষা করব৷ দেশের সংস্কৃতি, সম্প্রীতি, কৃষ্টি  রক্ষা করব৷ বাংলা দেখিয়ে দেবে বাংলা যা পারে, কেউ তা পারে না৷ বাংলাই আনবে বিশ্বের ভোর৷ সারা দেশ কলকাতার দিকেই তাকিয়ে থাকে৷ 
সেই সঙ্গে হবু কাউন্সিনারদের উদ্দেশ তাঁর বার্তা, রাস্তায় আলো নেই, জল নেই বা রাস্তায় জল জমেছে এই সকল দেখার দায়িত্ব কাউন্সিলারের৷ যাঁরা দখতে পারবেন না তাঁরা কাউন্সিলার হবেন না৷ মমতা বলেন, ‘আমি জামি কাউন্সিলারদেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে৷ সাধারণ মানুষের মতো তোমরাও জীবন অতিবাহিত করো৷ কিন্তু আমি চাই কোনও জায়গায় বিপদ কাউন্সিলাররা প্রথেম ছুটি যাবে৷ দায়িত্ব নিলে এইটুকু কাজ করতেই হবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 16 =

কারা কাউন্সিলার হবেন, প্রচার সভা থেকে সাফ জানালেন মমতা

কারা কাউন্সিলার হবেন, প্রচার সভা থেকে সাফ জানালেন মমতা

 

কলকাতা: গোয়া থেকে ফিরেই ফুলবাগানে নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পুরভোটের আগে এটাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সভা৷ সেই সভা থেকে বেঁধে দিলেন কাউন্সিরদের বেঞ্চমার্ক৷ 

আরও পড়ুন- রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ, আক্রান্ত ৭ বছরের শিশু

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গোয়ায় দল করেছি৷ এর আগে ত্রিপুরাতেও গিয়েছি৷  আমরা চাই বাংলা যে ভাবে এগিয়ে চলেছে সেটা সবাই দেখুক৷ বাংলাকে দেখে শিখুক৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি একদিন অনুপস্থিত থাকলেও এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার পথে ফাইল ক্লিয়ার করে বাড়ি যাই৷ আমাদের কোনও কাজ পড়ে থাকে না৷’’ সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, সাংসদ বিধায়করা সব কাজ করতে পারেন না৷ স্থানীয় কাজ করেন কাউন্সিলার, কমিশনার, গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও পুরসভা৷

মমতা বলেন, এখন যাঁরাই কলকাতায় আসেন, তাঁরাই সার্টিফিকেট দিয়ে যায়৷ দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু গেলেও এমন সাজানো শহর দেখা যাবে না৷ এই কলকাতাকে এক সময় কেউ কেউ দুঃস্বপ্নের নগরী বলতেন৷ সেই কলকাতা এখন স্বপ্নের শহর৷ কলকাতায় জলের উপর কোনও কর দিতে হয় না৷ অথচ দিল্লিতে এক বালতি জল নিতে গেলেও কর লাগে৷ আমরা বিনা মূল্যে রেশন, চিকিৎসা দিচ্ছি৷ টিকাকরণে বাংলা প্রথম৷  

তাঁর কথায়, রাস্তায় আলো নেই, জল নেই বা রাস্তায় জল জমেছে এই সকল দেখার দায়িত্ব কাউন্সিলারের৷ যাঁরা দখতে পারবেন না তাঁরা কাউন্সিলার হবেন না৷ মমতা বলেন, ‘আমি জামি কাউন্সিলারদেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে৷ সাধারণ মানুষের মতো তোমরাও জীবন অতিবাহিত করো৷ কিন্তু আমি চাই কোনও জায়গায় বিপদ কাউন্সিলাররা প্রথেম ছুটি যাবে৷ দায়িত্ব নিলে এইটুকু কাজ করতেই হবে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভবানীপুরে আমার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলার ঠিক মতো কাজ করেননি৷ তাই এবার টিকিটও পাননি৷ সেই সঙ্গে তাঁর সাফ বার্তা, এলাকায় কে বাড়ি করবে তা কাউন্সিলার ঠিক করবে না৷ বাড়ির প্ল্যানিং হবে অনলাইনে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − two =