রানাঘাট: শনিবার রাজ্যের চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি। দাবি করা হচ্ছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানির ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে যে বিজেপির প্ররোচনা অনুযায়ী কাজ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই প্রেক্ষিতে আজ রানাঘাটের জনসভা থেকে ‘প্রমাণ’ দেখিয়ে তদন্তের হুঙ্কার দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন জনসভা থেকে তিনি বলেন, “যারা যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের নাম আমি সিআইএসএফ থেকে বার করে নিয়েছি। আমি কিন্তু এই কেসটায় ছেড়ে কথা বলবো না। এখানে প্রত্যেকটা নাম আছে, পুরো তদন্ত হবে। এখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ লেখা রয়েছে কী ঘটনা ঘটেছে। আমাকে অত বোকা ভাবার কোন কারণ নেই।” এই প্রেক্ষিতে আজও জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে কোচবিহারের ওই ঘটনা সম্পূর্ণরূপে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মমতার এও দাবি যে, গোটা বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও জানেন। আবার পুলওয়ামা প্রসঙ্গে টেনে মমতা বলেন, ”কাদের মারতে গিয়ে নিজেদের লোককে মেরে চলে এসেছিলেন, জানি না ভেবেছেন? বেশি মুখ খোলাবেন না। আমরা দেশকে ভালবাসি। তাই অনেক কিছু বলি না।”
বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো আরো বলেছেন, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর শোভা পায় না যে তিনি এই ভাবে এই ঘটনার পর বাহিনীকে ক্লিনচিট দেন। এদিকে বিজেপির একজন নেতা কখনো বলছে আট জনকে মারো, কখনো আবার অন্য নেতা বলছে ১৬ জনকে মারো। এই দলকে নিষিদ্ধ করা উচিত কী নয় সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত গতকাল শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অনুসারে সেখানে যেতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি ভিডিও কলে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং স্পষ্ট জানিয়েছেন যে আগামী ১৪ তারিখ তিনি সেখানে যাবেন।