রাজ্যের দুর্নীতির কারণে কৃষক পরিবারের ছেলেরা রাস্তায় পড়ে! মমতাকে তোপ

রাজ্যের দুর্নীতির কারণে কৃষক পরিবারের ছেলেরা রাস্তায় পড়ে! মমতাকে তোপ

কলকাতা: যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চের পক্ষ থেকে আজ গান্ধী মূর্তি পাদদেশে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের মূল বিষয় হল, দীর্ঘদিন কৃষক আন্দোলনের ফলে কৃষি বিল প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কৃষক আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ ঠিকায়েতকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। অথচ তার দীর্ঘ ২-৩ বছর ধরে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কারণে কৃষক পরিবারের ছেলেরা রাস্তায় পড়ে রয়েছে। দুর্নীতি মেনে নিয়েও প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ সেই কৃষক আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি লেখা হবে, পাঠ করা হবে  এবং তিনটি ভাষায় অনুবাদ করে প্রত্যেকটা কৃষক নেতাকে এই বিষয়ে জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। 

এর পাশাপাশি জানান হয়েছে, মঞ্চ থেকে দাবি জানানো হবে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সত্যিই কৃষক আন্দোলনকে রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে সহানুভূতি দৃষ্টিতে দেখে থাকেন, তাহলে সব পরিবারের সন্তানদের উপর যে অবিচার, সেই নিয়ে কথা বলেন। এর পাশাপাশি প্রত্যেকে বই-খাতা, পোস্টার, পিজবোর্ড ইত্যাদির আকারে পোস্টার লিখবেন এই বিষয়কে কেন্দ্র করে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ মাসেরও বেশি সময় পর কৃষক আন্দোলন সাফল্য পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করেছে। তাই সেই প্রেক্ষিতে কৃষকদের এবং তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে গতকাল নয়া কবিতা লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের ‘সংগ্রামী’ অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। তবে আজ তাঁর আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল এই সংগঠন মঞ্চ।  

গত বছর সংসদের পাশ হয় তিনটি বিতর্কিত কষি আইন৷ কিন্তু আইন পাশ হওয়ার পরেই তা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা৷ দীর্ঘ আন্দোলনের পর গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে বিতর্কিত তিন আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ গত এক বছরে একটা দিনের জন্যেও ছেদ পড়েনি কৃষক আন্দোলনে৷ বহুবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে৷ কিন্তু কোনও সমঝোতায় যেতে রাজি হননি কৃষকরা৷ তাঁরা নিজেদের অবস্থানে এককাট্টা থেকেছেন৷ কৃষি বিল আইনে পরিণত হতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ প্রায় গোটা দেশের কৃষকরা৷ দিল্লি সীমান্তে আছড়ে পড়ে আন্দোলনের ঢেউ৷ কৃষকদের পিছু হঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ৷ ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় টিকরি সীমান্ত৷ কৃষক আন্দোলনে অবরুদ্ধ হয় দিল্লি যাওয়ার রাস্তা৷ কিন্তু এখন নতুন ভোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + one =