কলকাতা: শেষ কয়েক সপ্তাহে যেসব জায়গায় জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যেকটি জনসভাতে কয়েক জন বিক্ষোভকারীকে দেখা গিয়েছে। একাধিক ইস্যুতে তারা জনসভার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর কাড়তে চেয়েছেন, প্লাকার্ড দেখিয়েছেন এবং নিজেদের দাবি জানিয়েছেন। এদিনও সেই ‘বিদ্রোহের’ ব্যতিক্রম ঘটলো না। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম তপশিলি জাতি এবং উপজাতির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন মানুষ। বক্তব্য বলা শুরু করলেও সঙ্গে সঙ্গে নিজের বক্তব্য থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন শহর কলকাতার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তপশিলি জাতি এবং উপজাতি সম্মেলনে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় এইরকম কোন বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু এরপর যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে ওঠেন ঠিক তখনই কয়েকজন ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গত কয়েকটি জনসভায় যেভাবে দেখানো হয়েছিল ঠিক সেইভাবে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী রাগের বশে বলেন, “এতক্ষণ কেউ কিছু করছিল না, ঠিক এখনই দুই-চারজন এরকম করছে।” সঙ্গে সঙ্গে নিজের বক্তব্য থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মঞ্চে উপস্থিত বাকিরা তাদেরকে শান্ত হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে বললেও প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ থামেনি।
যদিও অন্য জনসভার মতো এ দিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট করে তাদের জানিয়ে দেন যে, এখানে এইভাবে বিক্ষোভ দেখাতে কিছু কাজ হবে না। সঠিক পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে হবে তবেই তিনি তাদের হয়ে কাজ করা যায় কিনা সেটা দেখবেন। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সৌজন্যবোধ রাখার কথা তাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। একইসঙ্গে দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাঁশ টপকে কেউ সামনের দিকে এগিয়ে আসছে কিন্তু পুলিশ কিছুই করছে না, তারা কি চোখে দেখতে পাচ্ছে না। যে কোনো রকম অঘটনও তো ঘটে যেতে পারে।