কলকাতা: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে দিন বাড়ি থেকে নবান্ন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছেন ব্যাটারি চালিত স্কুটারের পেছনে বসে। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিনব প্রতিবাদকে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। পুরোটাকে নাটক বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে এই প্রথমবার বাইকের পেছনে বসতে দেখা গেল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর আগে একাধিকবার বাইকের পেছনে সওয়ার হয়েছেন তিনি। যদিও সে সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় ছিল বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে।
আরও পড়ুন- প্রতিবাদ হচ্ছে বটে, কেন্দ্রের পাশাপাশি জ্বালানিতে কত আয় রাজ্যের?
আজ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাইকে চড়ে নবান্ন গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর আগে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তিনি বাইকে চেপে ছিলেন। তবে তখন প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। সে সময়ে নন্দীগ্রামের সাধারণ মানুষ পুলিশের ঢোকা আটকানোর জন্য রাস্তা কেটে এবং কাজ ফেলে এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। তখন বাইকে করেই নন্দীগ্রামে পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় পরবর্তী কি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা রাজ্যবাসীর সকলের জানা। এছাড়াও জঙ্গলমহলে গিয়ে ছত্রধর মাহাতোর বাইকের পেছনে চড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কামদুনির ধর্ষণের ঘটনার সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাইকে সওয়ার হতে দেখা গিয়েছিল। তবে দুটি ঘটনায় কার্যত তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিল। বাইকে চড়া ছাড়া আর কোন পথ ছিল না তাঁর কাছে। তবে এদিন একেবারে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই সময়মতো এই অভিনব প্রতিবাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘পুরোটাই নাটক!’ মমতার প্রতিবাদকে একযোগে কটাক্ষ বিরোধীদের
মমতার অভিনব প্রতিবাদকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনের আগে মানুষকে আরো বিভ্রান্ত করতে নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এসব করে কিছু যে লাভ হবে না সে ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী যত তাড়াতাড়ি এইসব বন্ধ করবে তত ভালো। এদিকে বিজেপির মতোই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস শিবির। তাদের তরফে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজ্য সরকার জ্বালানির দাম এক টাকা করে ছাড় দিয়েছে। কিন্তু ছত্রিশগড়ে কংগ্রেস সরকার ১২ টাকা দাম কমিয়েছে। চাহিদা রাজ্য সরকার আরও দাম কমাতে পারতো কিন্তু তা না করে এখন নাটক করা হচ্ছে। এদিকে সিপিএমের তরফে একটু উল্টো সুরেই দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিবাদ অত্যন্ত স্বাভাবিক।