কলকাতা: আহত হওয়ার দুদিনের মধ্যেই আজ হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত তাঁর সঙ্গী হুইলচেয়ার। তাতে করেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন আনতে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তাঁর ভাইপো তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মমতাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তিনি নিজেই ছুটি চেয়েছেন, বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তবে, মমতার পায়ের প্লাস্টার কাটা হয়েছে এবং নতুনভাবে প্লাস্টার দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৭ দিন পর আবার তাঁকে পরীক্ষা করা হবে।
গতকাল হাসপাতালের বেড থেকে শুয়ে ভিডিও বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর কর্মসূচি কিছুই নষ্ট করতে চান না। পায়ের সমস্যা থাকলেও তিনি ম্যানেজ করে নেবেন। এক্ষেত্রে আগামী কয়েকদিন হয়তো তাকে হুইল চেয়ারে ঘুরতে হতে পারে তাই তিনি সহযোগিতা চাইছেন। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা ছিল, এমন কিছু যেন না করা হয় যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়। সকলে যাতে শান্ত এবং সংযত থাকে সেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তবে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন কোনও প্রচার করতে পারবেন না তিনি। বাড়ি ফেরার পরে মমতাকে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁর পায়ের ফোলা কমেছে এবং বাকি শারীরিক অসুস্থতার কিছুটা হলেও উন্নতি ঘটেছে।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামকাণ্ডে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাল কমিশন, দ্বিতীয় দফায় বিপুল প্রার্থীর মনোনয়ন!
এদিকে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির প্রতিনিধিদলের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সেই দিনের ঘটনার সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে আনা হোক। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবী করছেন সেই দাবির পাল্টা দাবি করে একাধিক যুক্তি দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের পক্ষ থেকে। বলা হচ্ছে, যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী সেখানে ছিল, গাড়ির ড্রাইভার তাঁর নিজস্ব, এমনকি আশে পাশে যারা ছিল প্রত্যেকের তৃণমূল কংগ্রেস অনুগামী। তাদের প্রশ্ন, তাহলে এই ঘটনা কী করে ঘটতে পারে।