কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে ফুল মার্কস পেয়ে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নিজের কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন তিনি, তবে তাতে আদৌ কিছু যায় আসে না। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি কিছুদিন আগেই। আজ পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী তালিকা প্রকাশিত হল। মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল হয়েছে এবং কিছু নতুন মুখ এসেছে। আবার যে দফতর আগের মন্ত্রিসভায় যিনি সামলেছেন এবারেও সেই একই দফতর পেয়েছেন তিনি, এমন সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এবার দেখা যাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তো হয়েছেনই, বাকি কোন কোন দফতর তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
বিগত দুই বারের মতো এবারেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামলাবেন স্বরাষ্ট্র দফতর। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব নিয়েছেন নিজেই। এই দুই দফতর ছাড়া ভূমি এবং ভূমি সংস্কার, তথ্য এবং সংস্কৃতি, আর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের উত্তরবঙ্গে একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারে বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা হলেও নিজেদের জায়গা আয়ত্তে আনতে পেরেছে তারা। সেই প্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের হাতে রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্যই এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে উত্তরবঙ্গকে একেবারেই আলাদা ভাবে নিশানা করেছেন তিনি। গতবারের ভুল যেন এবারে আর না হয় সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে এই দফতর নিয়ন্ত্রণ করবেন। এদিকে মনে করা হচ্ছিল যে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবারের নির্বাচন না লড়ায় তিনি হয়তো অর্থমন্ত্রী থাকবেন না। কিন্তু তৃতীয় বারের মন্ত্রিসভায় তিনি অর্থমন্ত্রী হিসাবেই ফিরে এলেন। অর্থ দফতরের পাশাপাশি পরিকল্পনা এবং পরিসংখ্যান দফতর পেয়েছেন তিনি।
এদিকে পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়নের দফতর সামলাবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গতবারের মতো শিক্ষা দফতর এবার আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকল না। এবার তিনি পেলেন শিল্পের দায়িত্ব। শিক্ষা দফতর পেলেন ব্রাত্য বসু। এদিকে আগেরবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবার পেলেন বন মন্ত্রীর দায়িত্ব। খাদ্য দফতরের দায়িত্ব এবার সামলাবেন রথীন ঘোষ। এর পাশাপাশি ক্রীড়া দফতর হাতে পেলেন সেই অরূপ বিশ্বাস একইসঙ্গে এবার বিদ্যুৎ দফতর সামলাবেন তিনি, এদিকে ফিরহাদ হাকিম হলেন পরিবহন মন্ত্রী।