কলকাতা: আগামী বছর স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি৷ সেই উপলক্ষে দেশজুড়ে স্বাধীনতার ‘অমৃত মহোৎসব’ পালিত হবে৷ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তুতি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল শ্রোতার ভূমিকায়৷ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই শুক্রবারের বৈঠকে আর থাকবেন না তিনি৷
আরও পড়ুন- ববিতেই আস্থা! ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’-এর হাতেই লালবাড়ির ভার
বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘরে প্রশাসনিক আধিকারিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে অত রাজনীতি করা উচিত নয়৷’’ তিনি আরও বলেন, “গতকাল আমাদের বলার সুযোগ হয়নি। পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বের কাউকেই বলতে দেওয়া হয়নি। আমি ৩ ঘণ্টা ধরে মিটিংয়ে ছিলাম। বাংলাকে বাদ দিয়ে বাকিরা বলেছেন৷ এতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা হল স্বাধীনতার পীঠস্থান এবং জন্মভূমি। স্বাধীনতার মাতৃভূমি। ন্যাশনাল অ্যানথেম থেকে ন্যাশনাল সং সবটাই বাংলার। আন্দামান সেলুলার জেলে গেলে দেখতে পাবেন সব থেকে বেশি বাঙালিদেরই নাম আছে। যাঁরা সেই সময় স্বাধীনতা আন্দোলন করেছিলেন। তবে ওঁরা ওঁদের কাজ করুক, আমাদের কাজ আমরা করব।” এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘আমার সঙ্গে এত রাজনীতি করা উচিত নয়৷’’
এদিন নবান্নের সভাঘরে বাংলায় স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জয় গোস্বামী, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, অজয় চক্রবর্তী, সুবোধ সরকারের মতো বিদ্বজ্জনেরা৷ পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রমুখরাও। এদিন কার্যত কেন্দ্রকে বাদ দিয়ে বছরভর রাজ্যে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এর জন্য আমাদের কোনও বাজেট বরাদ্দ করা হয়নি৷ এর মধ্যেই যতটুকু করা যায় করব৷ আমরা আমাদের মতো করব৷ ঋষি অরবিন্দের জন্য ওই একই কমিটি। আমাদের কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সব সিদ্ধান্তই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমার নতুন করে বলার কিছু নেই। কালকে বলতে দিলে আমি বলতাম। কিন্তু আগামিকাল যে বৈঠকটি আছে, সেটা শুধু একজনের উপরে। যেটা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা সেরে ফেলেছি। সুতরাং আগামিকাল আমি থাকছি না। প্রতিদিন হয় না।’’