বাঁসুলিচক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় হতে চলেছে ভোট গ্রহণ। তার আগে আজ শেষ মুহূর্তের রাজনৈতিক প্রচার নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এই বিধানসভা কেন্দ্রে। এক সময়ের তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ নেতা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ শুভেন্দু অধিকারী আজ এই নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের বিপক্ষে। হাইভোল্টেজ এই লড়াইয়ের শেষলগ্নের প্রচারে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল নরেন্দ্র মোদীর সুর।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তথা বিরোধীদের হাত থেকে গোটা দেশকে রক্ষা করার জন্য ভোটের আগে নিজেকে দেশের চৌকিদার বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন নন্দীগ্রাম নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল সেই এক কথা। তিনিই এ রাজ্যের পাহারাদার, রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে দেবেন না তিনি, এদিন এমনটাই জানালেন তৃণমূল নেত্রী। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণের তীর শানিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ রাজ্যে বিজেপি এলে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দেবে। আমি তা করতে দেবো না। আমি আছি তো আপনাদের পাহারাদার হয়ে।”
এদিন বিজেপির স্বরূপ বোঝাতে দেশের অন্যান্য গেরুয়া শাসিত রাজ্যের উদাহরণ টেনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা হয়েছে, গুজরাটে দাঙ্গা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশে দাঙ্গা হয়েছে, বিহারে দাঙ্গা হয়েছে। বাংলাতেও ওরা দাঙ্গা করতে চেয়েছিল, আমি তা হতে দিইনি।” বিজেপি শাসিত রাজ্যে এনপিআর, এনআরসি-র মতো কেন্দ্রীয় আইন লাঘু হয়ে জনগণকে বিড়ম্বনায় ফেলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভোটের মুখে দলত্যাগী মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধেও এদিন নাম না করে ফের আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ মুহূর্তের এই প্রচার নন্দীগ্রামের ভোট ব্যাঙ্কে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার।