উপহার নয়, টাকা দিয়েই বইমেলা থেকে দলীয় বিধায়কের বই কিনলেন ‘মানবিক’ মমতা

উপহার নয়, টাকা দিয়েই বইমেলা থেকে দলীয় বিধায়কের বই কিনলেন ‘মানবিক’ মমতা

91997fb2b695d84438a45e2e88c9211c

কলকাতা: তিনি বারবারেই মানবিক রূপে ধরা দিয়েছেন। আরও একবার সেই রূপেই ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর মানবিকতার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা৷ বইমেয়ায় গিয়ে উপহার হিসেবে নয়, বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর থেকে দাম দিয়ে বই কিনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- রত্নার বিরুদ্ধে লোক নিয়ে এসে ভয় দেখানোর অভিযোগ বৈশাখীর, পালটা ‘ছেলেধরা’ কটাক্ষ বিধায়কে

সোমবার ৪৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র স্টলে ঢুকে বাউলদের গানের সঙ্গে গলাও মেলাতে দেখা যায় তাঁকে৷ সেখানে উপহার হিসেবে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় একতারা। অপর এক স্টলে গিয়ে তিনি দেখা পান দলেরই এক বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর৷ বইমেলায় সদ্য প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বই, ‘অভিশপ্ত অতীত অজানা ভবিষ্যৎ।’ মমতাকে সামনে পেয়ে নিজের লেখা বইটিই উপহার হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে গিয়েছিলেন মনোরঞ্জন। কিন্তু উপহার নন, মূল্য দিয়েই বইটি কিনে নেন মমতা। বইয়ের প্রতি মমতা ভালবাসা ও ‘দরিদ্র’ লেখকের প্রতি এই মানবিকতায় মুগ্ধ বলাগড়ের মানবদরদী বিধায়ক। সেই মুহূর্তের একাধিক ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন তিনি৷ 

ফেসবুকে তৃণমূল বিধায়ক লেখেন, “আমার সদ‍্য প্রকাশিত ‘অভিশপ্ত অতীত অজানা ভবিষ্যৎ’ বইখানি উৎসর্গ করেছি মা মাটি মানুষের নেত্রী আপামর মানুষের দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিয়মমতো ওনাকে আমার একটি বই দেওয়ার কথা। দিয়েও ছিলাম একখানি বই। কিন্তু উনি কিছুতেই তা বিনামূল্যে নিতে চাইলেন না। বললেন, ‘তুমি গরিব মানুষ! এমনি নেব না।’” বইটি হাতে নিয়েই মনোরঞ্জনের কাছে দাম জানতে চান দলনেত্রী। লজ্জামাখা মুখে বিধায়ক জানান, একটাকা! কিন্তু তাতে মানতে চাননি মমতা। উলটে তাঁর হাতে জোর করে গুঁজে দেন ৫০০ টাকার একখানি নোট। এতেই আপ্লুত বিধায়ক।

কিন্তু, এই টাকা দিয়ে কী করবেন মনোরঞ্জন? তিনি লেখেন, “আগামী ২০-২৫ বছর আমি বাঁচব। এই নোটখানি আমি সারা জীবন রেখে দেব। লক্ষ‍্য করে দেখুন, নোটের নম্বরগুলো। যোগ করলে সেই পঁচিশই হচ্ছে। পঁচিশ বছরের জন‍্য এই নোট আমার কবচ কুণ্ডল!”