নন্দীগ্রাম: সকাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি ঠিকই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভাড়া বাড়ি থেকে বের হলেন, তারপরেই বুথ পরিদর্শন করতে করতে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। মমতার বক্তব্য, ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়েছে! এদিকে, নন্দীগ্রামে হিন্দিভাষী রয়েছে এবং বহিরাগতরা ভোট করাতে দিচ্ছে না! এই প্রেক্ষিতে মমতা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, বারবার বলা সত্বেও নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি, তাই এবার তিনি আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।
আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা মন্তব্য করেছেন, বহিরাগতদের আশ্রয় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী! বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং একাধিকবার নির্বাচন কমিশনকে বলার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই তিনি ৬৩ টি অভিযোগ পেয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে এমনটা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোন করে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, নিরাপত্তার কারণে বেশ কিছুক্ষণ ধরে সাত নম্বর বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করেন। সেখান থেকেই তিনি ফোন করে অভিযোগ জানান রাজ্যপালকে। তার আগেই বয়ালের বিভিন্ন বুথে পরিদর্শনে যাওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়েই বয়ালে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন ভোটাররা৷ বিজেপি’র বিরুদ্ধে ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়৷ উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ৭ নম্বর বুথে পৌঁছনর মাঝেই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় হতাহাতি৷ পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও তৃণমূল ও বিজেপি’র মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়৷ রীতিমতো থান ইঁট তুলে একে অপরকে টার্গেট করেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় দু’ পক্ষের ইঁট ছোড়াছুড়ি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় বয়াল৷