জলপাইগুড়ি: দেশে কার্যত করোনাভাইরাস সুনামি হয়ে গিয়েছে। একের পর এক রেকর্ড ভেঙে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। ইতিমধ্যেই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশ কয়েকটি রাজ্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যে বিমান যাত্রীদের জন্য নতুন নিয়মের ব্যবস্থা করেছে। তবে এই সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, নির্বাচনের প্রচারের জন্য বাইরে থেকে লোক নিয়ে বাংলায় এসে তারা ভাইরাস বাড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যাবে।
মমতার বক্তব্য, আগের বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বহু লোক মারা গিয়েছে। তারপরে এখন আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। কিন্তু এই এক বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার কোনো কাজ করেনি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য। এখন বাংলার নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাইরের লোক নিয়ে এসে ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি করাচ্ছে ওরা! মমতার কথায়, গতবছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় একবারও বিজেপির কেউ বাংলায় আসেনি। এখন প্রচারে এসে রাজ্যে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে রাজ্যবাসীকে। তবে মমতা জানান রাজ্য সরকার যতটা পারেন চেষ্টা করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার। যদিও সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়ে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যাতে প্রত্যেকে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করে।
এদিকে আবার খুনোখুনির রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করে মন খারাপ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এত খুনোখুনি আর গুন্ডা বাজি সত্যিই ভালো লাগছে না। রাজনৈতিক লোকেরা গুন্ডামি কেন করবে, খুনোখুনি কেন হবে, এ লজ্জা। মমতার কথায়, এনপিআর যেমন লজ্জা, গুলি করা তেমন লজ্জা, এনআরসি যেমন লজ্জা, দাঙ্গা লাগিয়ে মানুষকে মারাও তেমন লজ্জা। তিনি আরো বলেন, শুধু দাঙ্গা করে বা গুলি করে মারা খুন নয়, ধাক্কা মেরে মারাও খুন, ছুরি দিয়ে মারাও খুন। কিন্তু এই খুনোখুনি তিনি আর চান না। মমতা বলেন তিনি ধ্বংস নয় সৃষ্টি চান, মৃত্যু নয় জীবন চান।