কলকাতা: প্রত্যেকদিন হু হু করে বাড়ছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ ইস্কুটারে চেপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্ন গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ফিরেছেন। অভিনব এই প্রতিবাদ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে যদি পেট্রোপণ্যের দাম না কমে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। মমতা মনে করিয়ে দিলেন, একদিকে কৃষকরা আন্দোলন করছেন, অন্যদিকে যদি সাধারন মানুষ আন্দোলনে নেমে যায় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সি লাগিয়েও কিচ্ছু করতে পারবে না।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র, রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। মমতার কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার এমন অবস্থা করেছে যেখানে মানুষের জীবনের দামে থেকে সব জিনিসের দাম বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ২ কোটি মানুষ কেরোসিন পাচ্ছেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী দিনে যদি পেট্রোপণ্যের দাম না কমে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তারা।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তিনি এও জানিয়েছেন, সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার কেরোসিনের জন্য যে ৪০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি সেটাও তুলে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর জন্য। এই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, কেউ আর বিজেপিকে চাইছে না। প্রসঙ্গত, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ অভিনব পন্থা অবলম্বন করে ব্যাটারি চালিত স্কুটির মাধ্যমে নবান্ন গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই স্কুটি চালিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে বিকেলে নবান্ন থেকে বাড়ি ফেরার সময় ফিরহাদকে স্কুটি থেকে নামিয়ে নিজেই গাড়ি চালানো শেখার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুটা স্কুটি নিয়ে এগোলেন তবে তাঁর পাশে সাহায্যের জন্য ছিলেন দেহরক্ষীরা। পরে অবশ্য ফিরহাদ হাকিম সকালের মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেছনে বসিয়ে ফেরেন।