জলপাইগুড়ি: সারা ভারত জুড়ে বিজেপি যে ধর্মের রাজনীতি করছে তার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন জলপাইগুড়ির জনসভা থেকে বক্তৃতা দিয়ে বিহারের ভোট প্রসঙ্গ টেনে নেই সেই বিজেপিকে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগে বিঁধলেন তিনি। একইসঙ্গে আক্রমণ করলেন ‘হায়দরাবাদের পার্টি’ আসাউদ্দিন ওয়াইসির মিমকে। মমতা সরাসরি বললেন, বিজেপির সঙ্গে ওদের গট আপ হয়ে গেছে। দুই দল ভোট ভাগাভাগি করছে, বিহারের নির্বাচনে কি হয়েছে সবাই জানে।
মমতার কথায়, ধর্মের রাজনীতি করে ক্ষমতা অর্জন করতে চাইছে বিজেপি। আর এক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করছে হায়দরাবাদের ওই পার্টি। বিজেপি হিন্দুদের ভোট নেবে, ওরা মুসলিমদের ভোট, এই হচ্ছে পরিকল্পনা। মমতা বলছেন, হিন্দুদের জায়গায় গিয়ে তাদের নামে বদনাম করতে, এদিকে মুসলিমদের জায়গায় গিয়ে তাদের হয়ে সুখ্যাতি করতে। এই ভাবেই হিন্দুদের ভোট পাচ্ছে বিজেপি, মুসলিমদের ভোট নিচ্ছে ওরা। তাহলে তিনি কি খাবেন, কাঁচকলা, প্রশ্ন তোলেন মমতা। আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল যে বিজেপিকে একাধিক জায়গায় সাহায্য করছে তা অন্যান্য বিরোধী দলের অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, ইচ্ছা করে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল এককভাবে নির্বাচনে লড়েছিলেন, কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে এলোরে বিজেপি সেখানে ক্ষমতায় আসে না। কিন্তু ইচ্ছে করে সেটা করা হয়নি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলায় সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে পড়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে দক্ষিণবঙ্গে রয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি, অন্যদিকে রয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এদের সঙ্গে যদি আসাউদ্দিন ওয়েইসি এক হয়ে যান, তাহলে অবশ্যই বিরাট চাপে পড়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার বিরোধীদলগুলো ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে ভেবে ফেলেছে। যদি সংখ্যালঘু ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের আখের গোছাতে না পারে, তাহলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাদের পক্ষে পরিস্থিতি খুব সুখকর হবে না তা বলাই বাহুল্য।