পুরুলিয়া: গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর, ওই প্রথম জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারে বসেই মঞ্চ থেকে ভাষণ দিলেন তিনি। রবিবার কলকাতায় মেয়ো রোড থেকে হাজরা পর্যন্ত পদযাত্রা হয় তৃণমূলের। সেই মিছিলে হুইল চেয়ারে বসেই যোগ দেন তৃণমূল নেত্রী। সেথান থেকেই পরে রওনা দেন পুরুলিয়ার উদ্দেশে। আজ সেখান থেকে জনসভা করে মমতা বড় ঘোষণা করলেন। জানালেন, পুরুলিয়ায় ৬৪০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
এদিন মমতা বলেন, সব কাজ যদি তিনি করে দেন তাহলে কেন খাল কেটে কুমির ঢোকানো হবে? তিনি জানান, ৬০ বছরের বেশি আদিবাসী সাঁওতাল পেনশন পাবেন। ১৮ বছর থেকে মিলবে বিধবা ভাতা। এদিকে, পুরুলিয়ায় ৬৪০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিতে দেবেন না বলে আইন করছেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কংগ্রেস ও সিপিএম বিজেপির দালাল। গদাই-মাধাই-জগাই হল সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি। এদিকে, এখানকার সাংসদ কিছু করেছেন কি এলাকার জন্য, এই প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেন মমতা। অন্যদিকে, ঘরে ঘরে রেশন, জল পৌঁছে দেওয়ারও বার্তা দেন তিনি, তৃণমূলের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে।
আরও পড়ুন- “রাজনীতি নিয়ে ছেলেখেলা করছেন শোভন”, ‘আনকোরা’ পায়েলকে পেয়ে খুশি রত্না
আহত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মমতার কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা, তিনি যদি ভাঙা পা নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে তারা কেন পারবেন না। অভিমান করে ঘরে বসে থাকবেন না, বিজেপি-র বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করুন, এমন বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো একবার অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে মানুষকে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। কিন্তু এত টাকা কোথা দিয়ে আসছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মমতার দাবি, নোট বন্দি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে বিজেপি। কিন্তু তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এদিন বলেন, জনগণের ভোট লুট করতে তিনি বিজেপিকে কোনদিন দেবেন না।