কলকাতা: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কমিটি গঠন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির অনলাইন তথা ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হল। সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, প্রখ্যাত অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী মমতা শংকর, স্বনামধন্য গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় সহ আরো অনেকেই। কমিটির সদস্যরা নেতাজির জন্ম বার্ষিকী উদযাপন বিষয়ে একাধিক পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সবার পরামর্শ শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্য রেখে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙ্গুল তোলেন। তিনি বলেন, নেতাজীকে নিয়ে স্বাধীন ভারতের মূল্যায়ন হওয়ার কথা ছিল তা আজ পর্যন্ত হয়নি। এই প্রসঙ্গে নিজের আক্ষেপ প্রদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার কথায়, স্বাধীনতার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে মূল্যায়ন হয়েছে, কিন্তু স্বাধীন ভারতের পর তাঁকে নিয়ে যথাযথ মূল্যায়ন কেউই করতে পারেনি, এ ব্যাপারে তিনি প্রচন্ড দুঃখিত। মমতা বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শুধুমাত্র বাংলা বা পশ্চিমবঙ্গের নয়, গোটা দেশের, সারা বিশ্বের। তাই তাঁর মৃত্যুর এত বছর কেটে যাওয়ার পরেও নেতাজির মৃত্যু দিবস নির্ধারিত করতে না পারাটা দুঃখজনক ব্যাপার। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, গোটা দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য কমিটি গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। তিনি আশা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যদিও কবে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বা আদৌ নেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণা নেই বলেই ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে আজকের এই ভার্চুয়াল সভা থেকে শিলিগুড়ি ট্রমা কেন্দ্র এবং ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তাঁর যেসব কবিতার বই আছে, সেখানে সব কিছু লেখা আছে, প্রকৃত নেতা, দেশপ্রমিক কারা তাঁদের তুলে ধরা হবে৷ প্রয়োজন মতো সেই কবিতার বই থেকে কবিতা বেছে নিতে হবে। জানান, নেতাজির নামে তৈরি হবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়৷ পালন হবে দেশনায়ক দিবস৷ স্কুল-কলেজে সরকারি ভাবে তৈরি হবে জয়হিন্দ বাহিনী৷ বাংলা সরকারের টাকায় মনুমেন্ট তৈরি হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ এছাড়াও তিনি আর্জি করেন, নেতাজীকে সম্মান দেখাতে বাজাতে হবে শাঁখ, দিতে হবে উলুধ্বনি৷