কলকাতা: সৈকত নগরীর দীঘা ছাড়াও সুন্দরবন থেকে শুরু করে মন্দারমনি, বকখালির মত পর্যটন কেন্দ্রকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু পরপর চারটি ঘূর্ণিঝড় সব লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। বুলবুল এবং ফনির পর আমফান এবং ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। সেই প্রেক্ষিতে পরিকল্পনামাফিক কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে রাজ্য সরকার তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন তিন ধরনের পরিকল্পনার কথা।
মমতা জানান, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য তিন ধরনের পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। লং টার্ম, মিড টার্ম এবং শর্ট টার্ম। এই তিন ধরনের পরিকল্পনার মাধ্যমে একদিকে যেমন পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে পুনরায় সাজিয়ে দেওয়ার কাজ করবে রাজ্য, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে তারা। মমতায় এ দিন ঘোষণা করেন, শর্ট টার্ম পরিকল্পনায় যে সমস্ত দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের চাকরি চলে গিয়েছেন তাদের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মিড টার্মে সুন্দরবন এবং দীঘা মাস্টার প্ল্যান পরিকল্পনার ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। মমতার কথায়, প্রকৃতি প্রকৃতিকে রক্ষা করে সেই কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগানোর ভাবনা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে ২৪ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানোর ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়া উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হবে বলে জানান তিনি। মোট ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হবে বলে জানান মমতা।
আরও পড়ুন- যোগী রাজ্যে ভোট যুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকেই চায় কংগ্রেস, টুইটারে ট্রেন্ডিং ‘দিদি আ রহি হ্যায়’
এর পাশাপাশি ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের ভাবনা ভেবেছে রাজ্য সরকার সেটাও এদিন মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেই প্রকল্পের নিরিখে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। এই প্রেক্ষিতেই মমতা দাবি করেন যে ১৯ লক্ষ মানুষ সরকারি সুবিধা সুযোগ পেয়েছেন এবং যারা আবেদন করছেন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য তাদের সেই আবেদন সম্পূর্ণরূপে যাচাই করা হচ্ছে সরকারের তরফে। কেউ যাতে বাদ না পড়ে যান তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে।