আঘাত আমার কাছে হেরে যাবে, আমি আঘাতের কাছে হারব না: মমতা

আঘাত আমার কাছে হেরে যাবে, আমি আঘাতের কাছে হারব না: মমতা

ছাতনা: বাঁকুড়া শালতোড়া জনসভা করার পর ছাতনায় জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জনসভায় আগত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকদের মনোবল আরো বৃদ্ধি করতে মমতা বলেন, “আঘাত আমার কাছে হেরে যাবে, আমি আঘাতের কাছে হারবো না”। স্বাভাবিকভাবেই দলনেত্রীর মুখ থেকে এই ধরনের বার্তা শুনে নিজেদের মনোবল বাড়িয়ে ফেলেছেন ঘাসফুল সমর্থকরা।

শালতোড়ার পর ছাতনায়তেও হুইল চেয়ারে বসেই ভাষণ দিতে শোনা যায় তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভাষণ দিয়ে তিনি বলেন, আঘাত তাঁর কাছে হেরে যাবে, কিন্তু তিনি কখনও আঘাতের কাছে হার মানবেন না। তাঁর এই কষ্ট অন্য কোন কাজে নয়, বাংলাকে রক্ষা করার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন তাঁর নির্বাচন, তিনি থাকবেন কি থাকবেন না সেটার নির্বাচন। এটা কোন বিজেপির নির্বাচন নয় কিংবা দিল্লির নির্বাচন নয়। নিজের পায়ের আঘাত প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা স্পষ্ট করেন, তাঁর পায়ে খুব যন্ত্রণা হচ্ছে এবং কষ্ট হচ্ছে। অনেকটা রক্ত জমে গিয়েছে পায়ে, কিন্তু তাও তিনি কষ্ট সহ্য করে আসছেন। মমতার কথায়, তিনি যদি না আসেন তাহলে হার্মাদরা সব নষ্ট করে দেবে। তিনি আরো বলেন, বাংলার মা’কে রক্ষা করার জন্য তিনি সবকিছু করবেন। যত কষ্টই হোক সহ্য করবেন। এর পাশাপাশি, ১০ লক্ষ নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র যৌবনদের জন্য ঢেলে কাজ করা হচ্ছে বলেও এদিন স্পষ্ট করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী এবং বোর্ডের পরীক্ষায় তাদের বেশির ভাগের উপরের দিকে নাম থাকে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। 

আরও পড়ুন-  আমি ঘরে বসে থাকলে মানুষ বিজেপির যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পাবে না: মমতা

এর আগে বাঁকুড়ার শালতোড়ায় জনসভা করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে নিশানা করেছেন নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। ছাতনার জনসভার পর তিনি বাঁকুড়াতেই আরো একটি জনসভা করবেন, সেটি হল রাইপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাইপুর সাবু সঙ্ঘের মাঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *