জঙ্গলমহলে কত চাকরি হয়েছে? খতিয়ান দিয়ে বিজেপিকে এক হাত নিলেন মমতা

জঙ্গলমহলে কত চাকরি হয়েছে? খতিয়ান দিয়ে বিজেপিকে এক হাত নিলেন মমতা

বিষ্ণুপুর: বাঁকুড়া তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। সেই বাঁকুড়ায় একের পর এক জনসভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কোতুলপুর, ইন্দাস এবং বড়জোড়ায় সভা করেছেন তিনি। আজ বিষ্ণুপুরে জনসভা করে নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে খতিয়ান দিলেন জঙ্গলমহলের চাকরির।

এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জঙ্গলমহলে আগে রোজ রক্ত পড়তো কিন্তু এখন সেই সব দিন চলে গেছে। বাঁকুড়া অনেক ভালো আছে। জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ৪০ হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরি করে দিয়েছে, তারা মূল স্রোতে ফিরে এসেছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‌ একইসঙ্গে বলেন, তিনি যা বলেছেন তা করে দেখিয়েছে। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো ঘোষণা করেন, ১০০ দিনের কাজ আগামী দিনে ২০০ দিনের হবে। এদিকে মন্ডল কমিশনের যাদের নাম আছে তাদের জন্য আলাদা কমিটি হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মমতা বলেন, সপ্তম পে কমিশনের কথা বলছে বিজেপি এদিকে ত্রিপুরায় প্রভিডেন্ট ফান্ড তুলে দিয়েছে। মমতার কথায়, বিজেপি মিথ্যাবাদী একটি দল। এই পরিপ্রেক্ষিতেই জনসভায় আগত সকলকে উদ্দেশ্য করে মমতা বার্তা দেন, যদি বিনামুল্যে চাল চান, সুবিধা চান তাহলে ২৯১ টি আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিতে হবে। সবকটিতেই তিনি নিজে প্রার্থী, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইলে জোড়া ফুলে ভোট দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুন-  ভাইপো উইন্ডোয় সাহায্য আটকে গিয়েছে, ২ মে দিদিকে দরজা দেখাবে বাংলা, তোপ মোদীর

এর পাশাপাশি এদিন ফের একবার মমতা অভিযোগ করেন যে, বিজেপি টাকা দিয়ে সবার ভোট কিনতে চাইছে। কিন্তু টাকা নিয়ে যেন কেউ তাদের ভোট না দেয়। বিজেপি যে টাকা দিচ্ছে সেই টাকা নিয়ে কে কি করবে সেটা তার ব্যাপার কারণ সেই টাকা জনগণের টাকা। তাই মমতার বক্তব্য, টাকা নিয়ে সবাই নিজের মতো খরচ করুন কিন্তু ভোট দিন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এর পাশাপাশি ভোট মেশিন পাহারা দেওয়ার নির্দেশ এ দিন ফের দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে প্রত্যক্ষভাবে শ্লেষ উগরে দিয়ে তিনি আরো মন্তব্য করেছেন, মোদীর মতো এত বড় একটা মিথ্যেবাদী তিনি জীবনে দেখেননি। মমতার বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে তিনি আগে সম্মান করতেন, এখন করেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =