কলকাতা: গতকাল নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই তৃণমূল শিবিরে উৎসবের আমেজ। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গতকাল নয়া নজির গড়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে জিতে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিন তিনটি নির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আজ ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে পুজো দিতে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের আগে প্রচারের সময়ও এই মন্দিরে এসেছিলেন তিনি। আজ জয়ের পর আবার এসে পুজো দিলেন। শোনা গিয়েছে, এই মন্দিরে মাঝে মাঝেই আসেন মমতা।
গতকাল সমস্ত রেকর্ড একাই ভেঙে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে তো জয়ের হ্যাটট্রিক করেনই, এমনকি ২০১১ সালে যে ভোটে তিনি জিতেছিলেন, সেই রেকর্ডও টপকে যান মমতা। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তিনি জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে। এদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ এবং তিনি জেতেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। উপনির্বাচনে শোভনদেবকেও টপকে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জয়ের প্রেক্ষিতে ভবানীপুরের সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানান ভবানীপুরের সাধারণ মানুষকে যে তারা কোনও ওয়ার্ডে তৃণমূলকে হারায়নি।
বিপুল ভোটে জয়ের পর মমতা জানান, ভবানীপুরে সব ধর্মের মানুষ আছেন, বাঙালি থেকে শুরু করে মুসলিম, মাড়ওয়ারি, পাঞ্জাবি সকলেই। প্রত্যেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন। এর আগে নির্বাচনে তিনি কয়েকটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এবার ভবানীপুরের মানুষ তাঁকে কোনও ওয়ার্ডে হারায়নি। এ জন্য তিনি ভীষণ কৃতজ্ঞ বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে অনেক চক্রান্ত হয়েছে, কোর্টে কেস আছে বলে তিনি বেশি কিছু বলছেন না। কিন্তু ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন। গোটা বাংলা ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। তারা তাঁকে প্রেরণা দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানান মমতা।