‘ভোট লুঠ করতে এলে হাডুডু, কাবাডি, সাঁতার সব খেলুন’! পরামর্শ মমতার

বিজেপির বহিরাগত গুন্ডারা ভোট লুঠের চেষ্টা করবে বলেই আশঙ্কা নেত্রীর

রঘুনাথপুর: দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। ক্যালেন্ডার বলছে, পশ্চিমবঙ্গ এখন বসন্তের মাঝামাঝি, কিন্তু বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখলে তা বোঝার উপায় নেই একেবারেই। ভরা বসন্তেও রাজনীতির উত্তাপে এখানে ঝরছে ঘাম। এবারের ভোটের আগে সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান হয়ে উঠেছে ‘খেলা হবে’। প্রথম দফার নির্বাচনের ৪ দিন আগে আরো একবার এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই ফের প্রচারে ঝড় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভোটের সময় বহিরাগত গুন্ডা নিয়ে এসে ভোট লুঠের চেষ্টা চালাবে বিজেপি, এদিন দলীয় জনসভা থেকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সভায় উপস্থিত জনগণকে শুধু সমস্যার কথা জানিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, বলে দিয়েছেন সমস্যা মুক্তির উপায়ও। বিজেপির ‘গুন্ডা’দের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পেতে হবে, তা বলতে গিয়েই টেনে এনেছেন বহু চর্চিত ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তিনি বলেছেন, “আপনারা বহিরাগত গুন্ডাদের ঢুকতে দেবেন না। ভোটের আগে ওরা বাসে করে করে ঢুকবে। আর ক্যাম্প বানিয়ে পাহারা দেবে। বলবে ভোট দিতে না যেতে। বাঁধা পেলে আপনারা হাতা খুন্তি নিয়ে বেরোবেন।” এরপরেই খেলার কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী।

ভোট দিতে কেউ যদি বাঁধার সৃষ্টি করে তবে মোটামুটি সবরকম খেলার ইঙ্গিতই এদিন দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ভোট লুঠ করতে আসলে খেলা হবে। মা বোনেরা হাতা খুন্তি দিয়ে খেলবেন, ঝাড়ু দিয়ে খেলবেন।” ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ফুটবল, হাডুডু, কবাডি থেকে শুরু করে সাঁতার পর্যন্ত সব খেলার পরামর্শই দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “খেলতে খেলতে বলবেন, খেলা হবে খেলা হবে খেলা হবে রে।” এখানেই শেষ নয়, খেলার মাধ্যমেই বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাংলার বাইরে পাঠানোর নিদানও দিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, জেলায় জেলায় বিভিন্ন জনসভা থেকে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ নিয়ে এর আগেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাতে যে দমে যাওয়ার পাত্রী নন মমতা, এদিন আরো একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন সেই কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − two =