কলকাতা: ২০২৫ সালে রাজ্যে আর কোনও মানুষের চোখের সমস্যা থাকবে না। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সব সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য সোমবার নবান্নে ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য, বয়স্কদের ছানি অপারেশন ও সকলের চোখের চিকিৎসা। এছাড়া অন্ধত্ব প্রতিরোধও এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সবাই। এর আওতায় ৫ বছর রাজ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২০ লক্ষ মানুষের ছানি অপারেশন করা হবে। এছাড়া বিনামূল্যে ৮ লক্ষ ২৫ হাজার চশমা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি সমস্ত সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ৪ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে চশমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। বাদ যাবে না শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যায় তারাও। তাদেরও সকলের চোখ পরীক্ষা করা হবে। ৩০০–র বেশি চোখের চিকিৎসক ও প্রায় ৪০০ জন অপটোমেট্রিস্ট এই কাজে যুক্ত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে ১২০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরের ১২০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই প্রকল্পের সূচনা হবে। তারপরে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরকে এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। প্রকল্পের নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। লোগোও তাঁরই ডিজাইন করা। এদিনই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একটি ট্রমা কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধন হয়েছে। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এতে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের মানুষ উপকৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, এই প্রকল্পের কারণে বিশ্বমানের চিকিৎসা সুবিধা পাবেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। ফলে কলকাতায় আসতে হবে না তাঁদের।