জলপাইগুড়ি: ধুপগুড়িতে যে দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর থেকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন ক্ষতিপূরণের। নিহতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দেখে মনে হবে এখানেও যেন কেন্দ্র এবং রাজ্যের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে। যদিও রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে আগেই তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ধুপগুড়ির দুর্ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইট করে ইতিমধ্যেই শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রীজাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃত এবং আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের এককালীন ৫০,০০০ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, সেই সঙ্গে ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ ছাড়া, সামান্য আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এই দুর্ঘটনা নিয়ে এখন তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হচ্ছে, ভোটের আগে চমক দিতেই এই ধরনের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফে। এর আগে বাংলার মানুষের প্রতি এত সহানুভূতি দেখা যেত না। যদিও পিছু হটতে চাইছে না বিজেপি শিবিরও। গাফিলতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে তারা। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনার ঘটনাকে কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা সঙ্কটজনক। আপাতত জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ৯ জন ভর্তি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে যে ২ জনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে, তাদের মধ্যে সকালেই একজনের মৃত্যু হয়েছে।