কলকাতা: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সম্মানী নতুন কমিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করার দিনই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা রাজ্য জুড়ে সকল পরিবার, সকল মানুষকেই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, তৃণমূল রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের ইতিহাসে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে। কারণ এই ধরনের কোনও প্রকল্পে এতদিনেও কোনো রাজ্যকে সম্পূর্ণভাবে আওতায় আনা হয়নি।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যারা এতদিন কোনো রকম স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ পাননি, তাদের সবাইকে এই প্রকল্পের আওতায় বিমার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে এই কার্ড পরিবারের মহিলা সদস্যের নামে ইস্যু করা হবে, যদিও গোটা পরিবারের সেই স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ পাবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি আরো জানান, ১ ডিসেম্বর ২০২০ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হতে চলেছে। এই প্রকল্পের ফলে প্রত্যেক পরিবার একটি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাবে, যে কার্ড হচ্ছে স্মার্ট কার্ড। এই কার্ডের মধ্যেই পরিবারের সকলের পরিচয় থাকবে। তিনি এও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই কার্ডের লেনদেন প্রক্রিয়া পুরোটাই ক্যাশলেস হবে।
তবে কীভাবে এই প্রকল্পে নতুন করে আবেদন করে যাবে সেই কথা বলতে গিয়ে মমতা জানান, ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য সরকার শুরু করবে ‘দুয়ারে দুয়ারে’ ক্যাম্পেইন। যারা এতদিন কোনো রকম স্বাস্থ্য বীমার আওতায় বা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় ছিলেন না, তারা এবার আবেদন করতে পারবেন। এই কার্ডের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, সরকারি হাসপাতালে পাশাপাশি প্রাইভেটেও ব্যবহার করা যাবে। এই ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও ১,৫০০ বেসরকারি হাসপাতালকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ক্যান্সার, ডাইবেটিস, স্নায়ুরোগ, হৃদরোগের সমস্যা সহ একাধিক জটিল রোগের চিকিৎসা করা যাবে এই প্রকল্পের আওতায়। তবে এই প্রকল্পের আওতায় যারা আসবেন তাদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা বীমা নির্ধারিত হবে, মাথাপিছু নয়। যদিও ওই পরিবারের একজন সদস্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা ব্যবহার করতে পারেন।