কলকাতা: রাজ্যের পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার পোস্টে যারা কর্মরত তাদের মধ্যে অনেকেই ডিউটি করার সময় মারা গিয়েছেন। এদিন সেই তথ্য তুলে ধরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রত্যেককে একটি করে সিভিক ভলেন্টিয়ার পোস্টে চাকরি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি রাজ্যে কতজন সিভিক ভলেন্টিয়ার কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন তার একটি তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিভিক ভলেন্টিয়ারের ডিউটি করতে করতে ৩১৫ জন মারা গিয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছেন ৯ জন মহিলা। অন্যদিকে, ২১ জন ভিলেজ পোল ভলেন্টিয়াররাও মারা গিয়েছে। পরিবারের প্রত্যেককে সেই পোস্টে সিভিক ভলেন্টিয়ার এর চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, এর আগে এই রকম নিয়ম ছিল না কিন্তু এবার থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পুলিশ মারা গেলে বা কোভিড ওয়ারিয়রস কেউ মারা গেলে যেমন তাদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হয় ঠিক সেভাবেই সিভিক ভলেন্টিয়ার পরিবারের চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশকে নিয়েও বড় ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান রাজ্যের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছিল যারা যারা হোম গার্ড, কনস্টেবল, এসআই নানারকম পদে আছে, তাদের মধ্যে যারা ১৫ বছর কাজ করেছে তারা নিজ নিজ জেলায় ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। এই প্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ হাজার লোক আবেদন করেছিল, যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩৫ হাজার জনকে হোম ডিস্ট্রিক্টে পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সফরে এসে শুধু বড় বড় কথা বলে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তিনি যা বলেছেন পুরোটাই মিথ্যে। মমতার কথায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন কিছু বলবেন তার আগে ক্রশ চেক করে নেওয়া উচিত, এইভাবে জনগণকে মিথ্যে বলাটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার। মমতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু বাংলাকে খারাপ দেখাতে ব্যস্ত, কিন্তু কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে ঠিক অন্য কথা। এই কথা বলেই কোন কোন কাজে বাংলা ১ নম্বর স্থান অধিকার করেছে সেই বিষয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সমস্ত তথ্য সবার সামনে রাখা হয়েছে, এবার কিন্তু অমিত শাহকে তাকে খাওয়াতে হবে। মমতার কথায়, ‘সব উত্তর দিয়ে দিয়েছি, এবার কিন্তু অমিত শাহকে আমাকে খাওয়াতে হবে। আমি গুজরাটি খাবার খেতে চাই, ধোকলা। আরেকটা খাবার আছে যার নাম আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না, দীনেশ দা আমাকে খাওয়ায় মাঝে মাঝে। তবে আমাকে ভালো করে ধোকলা খাওয়াতে হবে’।