কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর যা বলেছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছেন। বাংলার তথা দেশের রাজনীতির আঙিনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের যুগলবন্দী তাক লাগিয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় এসেছে ঘাসফুল শিবির এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে তাই ২০২৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। এদিকে আবার গতকাল কালীঘাটের বাসভবনের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর দলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জেলা স্তরে সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেই কারণেই মমতা-পিকে বৈঠক।
গতকাল বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন ছিল কিন্তু বিধানসভায় আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে নবান্নে স্যানিটাইজেশনের কাজ হয় সেখানেও জাননি মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে কালীঘাটের বাসভবনেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান প্রশান্ত কিশোর। বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান, আগামী সপ্তাহে জেলাস্তরে ব্যাপক রদবদল করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সেই কারণেই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ঘোষণা করে দিয়েছে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ম। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী দলের কোনও দায়িত্বে থাকবেন না। আর এই কারনেই জেলা স্তর থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত রদবদল করতে হবে দলের সুপ্রিমোকে। আর তাই এই প্রেক্ষিতেই হয়তো প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হলে দলের তরফে একাধিক জেলা সভাপতি বদল করতে হবে কিংবা মন্ত্রিসভায় বদল আনতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন- বিজেপি রাজ্য থেকে বেশি মন্ত্রী! হিসেব করে দেখালেন ডেরেক
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন পাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির। কিন্তু ৭৭ আসনেই থেমে যেতে হয়েছে তাদের। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর প্রথম থেকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যে বাংলায় বিজেপিকে তিনি তিন অঙ্কে পৌঁছতে দেবেন না। অবশেষে সেই চ্যালেঞ্জ জিতেছেন তিনি তাই বাংলা তথা জাতীয় রাজনীতিতে প্রশান্ত কিশোর এখন আরো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন। আর তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর রসায়ন যে অবশ্যই ব্যাপক ভাবে নজর কেড়েছে জাতীয় রাজনৈতিক মহলের তা বলাই বাহুল্য।