ফের জেলা সফরে মমতা, খতিয়ে দেখবেন বন্যা পরিস্থিতি

ফের জেলা সফরে মমতা, খতিয়ে দেখবেন বন্যা পরিস্থিতি

কলকাতা: আবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার আরো একবার দুই দিনের জেলা সফরে যাচ্ছেন তিনি। এবার ঝাড়গাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। 

বেশ কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই হাওড়া উদয়নারায়নপুরে পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। তবে আবহাওয়া অনুকূল না থাকার কারণে তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছে। এবার আগামী সপ্তাহে আবার জেলা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকা সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের অবস্থা খুবই খারাপ। একই রকমের পরিস্থিতি দাসপুর এবং চন্দ্রকোনা এলাকার। সেখানকার সাধারণ মানুষ নৌকা নিয়ে যাতায়াত করছেন এবং অনেকেরই বাড়িতে থৈ থৈ করছে জল। সেই প্রেক্ষিতেই সমস্ত এলাকায় গিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- কলকাতা-হাওড়ার পাম্পে ফুরোতে বসেছে পেট্রল-ডিজেল!

এর আগে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসির দিকে আঙুল তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ডিভিসি অতিরিক্ত জল ছাড়ায় ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রাজ্য চারবার ম্যান মেড বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে একই কারণে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন। একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কথা বলেছেন তিনি। সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেন্দ্রের তরফে এখনো কোনো আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়নি বলেও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। চলতি বন্যায় প্রাণহানি সহ রাজ্যে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শীঘ্রই তার হিসাব তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন। মমতার মূল বক্তব্য, এখন বর্ষাকাল এবং বর্ষার জন্য সব জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি বর্ষার জন্য  হয়নি। জল ছাড়া হয়েছে সেই কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *