আলিপুর: নতুন করে চাইবেন না কিছু৷ বিনা পয়সায় চিকিৎসা, বিনা পয়সায় খাদ্য, বিনা পয়সায় শিক্ষা, এর থেকে বেশি আর কিছু দেওয়ার ক্ষমতা নেই সরকারের৷ সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিধায়কদের উদ্দেশ্যে ঠিক এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে বিধায়কদের দিলেন চূড়ান্ত ধমক৷
এদিন বৈঠকের মাঝে বিধায়কদের সমস্যার কথা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ সমস্যার কথা বলতে উঠেই বিধায়করা নিজেদের এলাকায় উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে৷ কিন্তু তাদের দাবি শুনে বেশ খানিকটা বিরক্ত প্রকাশ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ জানিয়ে দেন, সবই তো বিনা পয়সায় চলছে৷ এখন কিছু হবে না৷ সব কিছু দেওয়া যাবে না৷ একটু সময় লাগবে৷ এখনই সব চাইলেই যে পাবেন না৷
এদিন এক বিধায়কের প্রশ্ন শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সবকিছুই ফ্রিতে চলছে৷ এবার পর আর দেওয়া যাবে না৷ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় একটি কলেজ নির্মাণের দাবি জানান এক বিধায়ক৷ মুহূর্তেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, পরে হবে৷ আগে ৪৬টা কলেজের কাজ করতে দিন৷ ৪৬টা কলেজ নির্মাণের হাত লাগিয়েছি আমরা৷ সেটা আগে শেষ হোক, তারপর আমরা ব্যবস্থা নেব৷ ৪৬টি কলেজ তৈরি করছি৷ আগে শেষ হোক৷ তারপর৷
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন করে চাইবেন না কিছু৷ বিনা পয়সায় চিকিৎসা, বিনা পয়সায় চাল, খাদ্য, বিনা পয়সায় শিক্ষা৷ এর থেকে বেশি সরকারের দেওয়ার কিছুই নেই৷ এদিন গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের ঘাটতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেন নেতারা৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমরা কিছুই করতে পারছি না৷ আপনি ডাক্তার নিয়ে আসুন৷ আমরা দিয়ে দেব৷ আমরা পাচ্ছি না৷ বললাম তো, ১০ হাজার চেয়েছিলাম আমাদের দু’হাজার ডাক্তার পাঠানো হয়েছে৷ আমরা কোথা থেকে করব? সমস্যা কী জানেন? আপনি যদি বলেন, প্রতিটি ঘরের সামনে সামনে একটা করে স্বাস্থ্য কেন্দ্র করে রেখে দাও, ডাক্তারটা তাহলে কোথায় পাবেন? স্বাস্থ্য কেন্দ্র করে দেওয়া আমার কোন সমস্যা নেই৷ কিন্তু ডাক্তার আসবে কোথা থেকে? ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তো৷ ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না৷ এটা একটা বড় সমস্যা সারাদেশে৷