কোনও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি, ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ: মমতা

কোনও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি, ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ: মমতা

কলকাতা: সমস্ত রেকর্ড আজ একাই ভেঙে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে তো জয়ের হ্যাটট্রিক করলেনই, এমনকি ২০১১ সালে যে ভোটে তিনি জিতেছিলেন এখানে, সেই রেকর্ডও আজ টপকে গেলেন মমতা। আজ ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তিনি জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে। এদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ এবং তিনি জেতেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। উপনির্বাচনে শোভনদেবকেও টপকে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জয়ের প্রেক্ষিতে ভবানীপুরের সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানালেন ভবানীপুরের সাধারণ মানুষকে যে তারা কোনও ওয়ার্ডে তৃণমূলকে হারায়নি।

তিনি জানান, ভবানীপুরে সব ধর্মের মানুষ আছেন, বাঙালি থেকে শুরু করে মুসলিম, মাড়ওয়ারি, পাঞ্জাবি সকলেই। প্রত্যেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন। এর আগে নির্বাচনে তিনি কয়েকটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এবার ভবানীপুরের মানুষ তাঁকে কোনও ওয়ার্ডে হারায়নি বলে জানান মমতা। এ জন্য তিনি ভীষণ কৃতজ্ঞ বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে অনেক চক্রান্ত হয়েছে, কোর্টে কেস আছে বলে তিনি বেশি কিছু বলছেন না। কিন্তু ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন। আজ গোটা বাংলা ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। তারা আজ তাঁকে প্রেরণা দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানান মমতা।

এদিকে, প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, সব ওয়ার্ডে রিগিং হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ছাপ্পা ভোট হয়েছে! সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস জিতছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন। এই ছাপ্পা ভোটে জয়ের জন্য তিনি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে জানান প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল। ইতিমধ্যেই প্রবল উচ্ছ্বাসে মেতেছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ভবানীপুর এবং কালীঘাট তো বটেই, বাকি দুই কেন্দ্রেও উৎসবের আমেজ ঘাসফুল শিবিরে। সব জায়গায় যেন অকাল হোলি পালিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − five =