নিমতিতা বিস্ফোরণ: আহত শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে দেখতে ফের SSKM এ মমতা

নিমতিতা বিস্ফোরণ: আহত শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে দেখতে ফের SSKM এ মমতা

কলকাতা: নিমতিতা বিস্ফোরণে আহত শ্রম দফতরে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসনকে দেখতে ফের এসএসকেএম হাসপাতালে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ জাকির হোসনকে দেখার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন-  চাকরির প্রলোভন, ৮৩ লক্ষ টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাসপাতালের প্রতিটি চিকিৎসক এবং নার্স ভালো কাজ করছেন৷ জাকিরের মুখ চোখ এখনও ফুলে রয়েছে৷ তবে তাঁর স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হচ্ছে৷ দুটি অপারেশন হয়েছে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর৷ এর আগে বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল তাঁর৷ আজ তাঁকে উডবার্ন বিল্ডিংয়ে নিয়ে আসা হবে৷’’ এছড়াও তিনি জানান, এই ঘটনায় আহত ছোট ছেলেটিও এখন স্থিতিশীল রয়েছে৷ আরও একটু সুস্থ হলে তাকে জেনারেল বেডে দেওয়া হবে৷

এই বিস্ফোরণের ঘটনায় জাকির হোসেন সহ মোট ১৪ জন এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ পা খুইয়েছেন ৩ জন৷ এক জনের হাত বাদ গিয়েছে৷ তাদের সরকারের তরফে কৃত্রিম হাত-পা দেওয়া হবে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, এই ট্রমা সেন্টার হওয়াতে বহু মানুষ তাঁদের জীবন ফিরে পাচ্ছেন৷ তবে পরিবারের লোকেদের এখনই রোগীদের কাছে না যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড ফের একটু একটু করে বাড়ছে৷ তাই সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে৷  

এদিকে বুধবার রাতে নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মিলেছে নাশকতার ইঙ্গিত৷ বিস্ফোরণের জেরে স্টেশনে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে৷ যা দেখে গোয়েন্দারা মনে করছেন এই বিস্ফোরণে শক্তিশালী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল৷ যেমনটি নাশকতার ঘটনার ব্যবহার করা হয়৷ তবে কেন শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে নিশানা করা হল, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি গোয়েন্দা আধিকারিকরা৷

আরও পড়ুন-  ‘দেশভক্তির বদলে বাংলায় চলছে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি’, কটাক্ষ নমোর

এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল সিট-এর পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে এসটিএফ, সিআইডিসিআইএফ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে এই ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল ‘প্রেসার রিলাজ টেকনোলজি’ সমৃদ্ধ বোমা৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *