কলকাতা: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন মুকুল রায়৷ শুভ্রাংশু রায়কে সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি৷ অন্যদিকে তৃণমূল ভবনে উপস্থিত রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা৷ মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল সুপ্রিমোর হাত ধরেই প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে মুকুল-শুভ্রাংশুর৷ ‘বেচারা’ মুকুলের সঙ্গে এবার মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷
আরও পড়ুন- FIR খারিজ নয়, তদন্তে সাহায্য করতে হবে মিঠুনকে, নির্দেশ হাইকোর্টের
২০২১-এ বিধানসভা ভোটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণিত৷ কিন্তু তৃতীয়বার বঙ্গ জয়ের পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ২০২৪৷ নরেন্দ্র মোদীকে হঠানোর ডাক দিতে শুরু করেছেন মমতা৷ এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুকুল রায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতার প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই৷
মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনের কারণ হিসাবে বলা যেতে পারে স্বপ্নভঙ্গ৷ যে স্বপ্ন নিয়ে মুকুল রায় বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন, তা পূরণ হয়নি৷ স্বপ্নভঙ্গের বেদনা তাঁকে কুড়েকুড়ে খাচ্ছিল৷ তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ দেওয়া হলেও কাজ করার সুযোগ তিনি পাননি৷ তুলনায় তাঁর চেয়ে অনেক ছোট শুভেন্দু অধিকারী দলে অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন৷ বিধায়ক হওয়ার পরেই তাঁকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেখানে মুকুল রায় কিন্তু জায়গা পেল না৷ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর নীচে বিধানসভায় কাজ করতে হত তাঁকে৷
নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ যে ভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেই গুরুত্ব মুকুল রায় কখনই পাননি৷ ভোটের আগে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা বা প্রচারের কাজে সে ভাবে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ তিনি যে প্রার্থীদের চেয়েছিলেন তাঁদের টিকিটও দেওয়া হয়নি৷ উল্টে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হয়৷ এর পরেই আক্ষেপের সুরে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘বেচারা’ মুকুল৷ বলেছিলেন, আর কোনও জায়গা পাওয়া গেন না তাঁকে কৃষ্ণনগর পাঠিয়ে দেওয়া হল৷ রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এর মধ্যে দিয়েই প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷