বর্ধমান: পঞ্চম দফার পর অবশিষ্ট তিন দফার ভোটে ৭২ ঘণ্টা আগে বন্ধ করতে হবে প্রচার৷ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, শীতলকুচির ঘটনা মাথায় রেখে পঞ্চম দফা ভোটেও ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কমিশন৷ আজ বর্ধমানের জনসভা থেকে কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- কোভিড নিয়ে চিন্তা নেই মোদীর, বাইরে থেকে লোক ঢোকাচ্ছে রাজ্য, তোপ মমতার
এদিন তিনি বলেন, আমরা বাকি দফার ভোট একসঙ্গে করার কথা বলেছিলাম৷ কিন্তু সেটা করা হল না৷ অথচ প্রচারের সময় কমিয়ে দিল কমিশন৷ কেন? তাঁর অভিযোগ, বিজেপি’র এলাকায় যখন ভোট ছিল, তখন ৮-১০ দিন করে সময় দেওয়া হয়েছে৷ এখন বাকি চারটি দফায় সময় কমিয়ে আমাদের চারদিন প্রচার নষ্ট করা হল৷ যদিও তাঁর দাবি, ওই প্রথম চার দফাতেও জিততে পারবে না বিজেপি৷
তাঁর কথায, যদি প্রচারের চার দিন কেটে নেওয়া হয়, সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়৷ তাহলে এক সঙ্গে ভোটটা করা হল না কেন? আসলে বিজেপি’র ইচ্ছে মতো চলছে নির্বাচন কমিশন৷ বড় কোনও ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশনের উপরেই দায় বর্তাবে৷ তিনি বলেন, দুটি আসনে ইতিমধ্যেই দুইজন প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে৷ মুর্শিদাবাদের এই দুটি কেন্দ্রই আমাদের জেতা আসন৷ অন্য দলের প্রার্থী মারা গেলেও, তাঁদের জন্য আমি দুঃখিত৷ কারণ আমরা কারও মৃত্যু চাই না৷ এসব দেখার পরে নির্বাচন কমিশন সময় কাটছাঁট করছে, অথচ বাকি তিন দফার ভোট এক দিনে করতে পারল না৷
তোপ দেগে মমতা বলেন, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের সভা নেই বলেই ওই চারদিন প্রচারে বাধ সাধা হয়েছে৷ তিনি বলেও, ওই চারদিন আমার সভা ছিল৷ তাই ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হয়েছে৷ এর আগেও ২৪ ঘণ্টা সময় নষ্ট করা হয়েছে আমার৷ শহরের দিকে রাতেই বেশি সভা হয়৷ অথচ রাতেই সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ সবটাই হচ্ছে বিজেপি’র ইশারায়৷ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই৷