সভাধিপতির পর এবার ইস্তফা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষর, চর্চায় মালদহ জেলা পরিষদ

সভাধিপতির পর এবার ইস্তফা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষর, চর্চায় মালদহ জেলা পরিষদ

মালদা: ক’দিন  আগেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে গৌড়চন্দ্র মণ্ডল৷ এবার মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পায়েল খাতুন।  কিছুদিনের মধ্যেই হতে চলেছে নতুন সভাধিপতি নির্বাচন৷ তার আগেই পায়েল খাতুনের ইস্তফা জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মালদহ জেলা পরিষদের অভ্যন্তরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ আরও প্রকট হচ্ছে৷ বিক্ষুব্ধরা কি বিজেপিকে হাতিয়ার করে অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে৷  

২০১৮সালে জেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয় পায়েল খাতুন। এরপর সে মলদা জেলা পরিষদের জন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পদ পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ওই পদে তিনি কাজ করেছেন। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে পায়েল খাতুনের স্বামী মহন্মদ ইয়াসিন বিজেপিতে যোগ দেন। তবে পায়েল খাতুন তৃণমূল দলেই রয়ে গিয়েছিলেন।

বিধানসভা ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে রতুয়া থেকে পায়েল খাতুন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেন কিন্তু হেরে যান। এরপর দীর্ঘ ছয় মাস তার সাথে তৃণমূল কোনও সম্পর্ক রাখে নি। এমনকি গাড়ির সামনে জন স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্যের বোর্ড খুলে দেন। তবে জল্পনা উড়িয়ে পায়েল খাতুন জানান, ‘‘আমি নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যায়। ব্যাক্তিগত আত্ম সন্মানের কারনে আমি কর্মাধ্যক্ষ পদ থেক ইস্তফা দিয়েছি। আগামী দিনে অন্য কোনও দলে যাব না। নতুন দল গঠন করব।’’

যদিও এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি জানান, ‘‘আমি দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। সে অন্যদলে গিয়েছিল ফলে অন্য দলের সম্বন্ধে কিছু বলব না।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, মালদহ জেলা পরিষদ দখল নিয়ে অন্য কোন খবর আমার ‘জানা নেই’৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *