মালদহ: দল বিরোধী কাজের জন্য বিজেপির ৩ পঞ্চায়েত সদস্যকে সাসপেন্ড করল জেলা বিজেপি৷ নেতাদের কাটমানি না দেওয়ায় সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সদস্যরা৷ যার জেরে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার জেলা বিজেপির৷ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মাঠে নামার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেও৷ মালদহের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য৷
মালদহের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই তিন পঞ্চায়েত সদস্য হলেন টুলি রায়, রামেশ্বর রায় এবং মৌসুমি সিংহ। এর মধ্যে টুলি রায় কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দল নেত্রী। এদিকে টুলি রায়ের স্বামী, স্থানীয় বিজেপি নেতা দিলীপ রায়ের অভিযোগ, ব্লকস্তরের বিজেপি কিছু নেতা কাটমানি চাইত। যা দিতে না পারায় গোলমালের সূত্রপাত। আর সেই কারণেই তাঁদের একসঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর জন্যে দলে প্রবল গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ী করেছেন তিনি।
যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তিন পঞ্চায়েত সদস্যই দল বিরোধী বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, দলের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরুপ মন্তব্য করতেন। বার বার সতর্ক করার পরেও তাঁরা একই আচরণ করতে থাকায় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। কাটমানি ও গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে জেলা বিজেপি কিষান কেডিয়া। এই নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, বিজেপি এই তিন পঞ্চায়েত সদস্যকে সাসপেন্ড করার পরেই এদিকে শক্তি বৃদ্ধির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁরা ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে তিন জনকে দলে টেনে আনতে। এক জনের সঙ্গে এই বিষয়ে ফোনে কথাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান। তবে তাঁর কথায়, তিন সদস্য যদি তৃণমূলে যোগদানের জন্যে আবেদন করে সেক্ষেত্রে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। পাশাপাশি বিজেপি কাটমানির দল বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলেরই দখলে। ১৯ টি আসনের মধ্যে ১২ টি তৃণমূলের দখলে।বাকি ৭ টি বিজেপির। এখন এই তিন সদস্য কী করেন সেটাই এখন দেখার। তবে ইতিমধ্যেই বিজেপির জেলা নেতৃত্ব অন্য এক পঞ্চায়েত সদস্যকে বিরোধী দল নেতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।